নয়াদিল্লি : করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন (Omicron) ডেল্টা (Delta ) স্ট্রেইনের চেয়ে বেশি সংক্রামক। ভ্যাকসিনের কার্যকারিতাও এই ভ্যারিয়েন্টের উপর কম। তবে প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, ডেল্টার থেকে কম লক্ষণ সৃষ্টি করে এই ভ্যারিয়েন্ট, দাবি করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এই বছরের শুরুতে ভারতে দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় সবথেকে বেশি থাবা বিস্তার করে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে এই বছরে করোনভাইরাস সংক্রমণের জন্য দায়ী ছিল এই ডেল্চা । কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার ওমিক্রনের হদিশ মেলার পর দেখা যায়, এই ভ্যারিয়েন্টের বিপুল সংখ্যক মিউটেশন হয়েছে। গত মাসে ওমিক্রনের প্রথম কেসের হদিশ মেলার পর দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলোর ওপর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে শুরু করে বিভিন্ন দেশ। এর বিস্তারকে আটকানোর জন্য অভ্যন্তরীণ বিধিনিষেধ পুনরায় চালু হয়। হু (WHO) বলছে যে, ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওমিক্রন ৬৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় দ্রুত সংক্রমণ লক্ষ করা গিয়েছে।
আরও পড়ুন :
এবার কেরলেও ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান, দেশে মোট সংক্রমিত বেড়ে ৩৮
দক্ষিণ আফ্রিকা, বেলজিয়াম, ইজরায়েলের পাশাপাশি ওমিক্রনের দাপটে কার্যত ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা ব্রিটেনের। করোনার নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট কতটা মারাত্মক, প্রাণঘাতী হতে পারে তা উঠে এসেছে একটি আন্তর্জাতিক সমীক্ষায়। তাদের গবেষণা বলছে ঠিকমতো সতর্কতা না নেওয়া হলে, আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে ব্রিটেনে ২৫ থেকে ৭৫ হাজার জনের মৃত্যু হতে পারে। ওমিক্রন যে কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে, তার ইঙ্গিত হল, করোনার বিটা ভ্যারিয়েন্টে মিউটেশন ছিল ৬টি, ডেল্টায় ১০টি আর আর সেখানে এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটি অন্তত ৩২টি মিউটেশন ঘটিয়েছে। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে ওমিক্রনের আরও একটি প্রজাতির সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যাকে এখনও সনাক্ত করা বেশ কঠিন। দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডায় হদিশ মিলেছে।
উদ্বেগ বাড়িয়ে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে আটত্রিশে। কেরলে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। ওমিক্রন সন্দেহে বাংলায় দু’জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, দু’জনের অবস্থা স্থিতিশীল।