USA Citizenship: সম্প্রতি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স আবার নতুন করে মার্কিন নাগরিকত্ব, অভিবাসন নিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছেন। বৃহস্পতিবার তিনি (JD Vance) বলেছেন, গ্রিন কার্ড থাকলেও এবার থেকে স্থায়ীভাবে মার্কিন মুলুকে থাকা যাবে না, এই কার্ড কখনই অভিবাসীদের আজীবন আমেরিকায় বাসের অধিকার নিশ্চিত করে না। গ্রিন কার্ডকে (Green Card Debate) মূলত বলা হয়ে থাকে পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট কার্ড যার মাধ্যমে বিদেশি অভিবাসীরা (ভারতীয়রাও) আমেরিকায় (US Citizenship) থাকতে এবং কাজ করতে পারেন। কিন্তু এই কার্ডের নামের সঙ্গে জুড়ে থাকা 'পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি' কথার অর্থ কখনই আমেরিকায় আজীবনের নাগরিকত্বের নিশ্চয়তা নয়।


বিদেশি সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজে একটি সাক্ষাৎকারে সঞ্চালক লরা ইনগ্রাহামের এক প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, 'একজন গ্রিন কার্ড ধারকের আজীবন নিশ্চিতভাবে আমেরিকায় থেকে যাওয়ার কোনও অধিকার নেই'। জেডি ভ্যান্স জানান, 'এটি কোনও বাক স্বাধীনতার বিষয় নয়, আমার কাছে এটি জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়। তবে এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা একজন আমেরিকান জনগণ হিসেবে আমাদের জাতীয় সম্প্রদায়ে কাকে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেব, তা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি'।


তিনি আরও বলেন, 'আর যদি প্রদেশের সচিব কিংবা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট মনে করেন যে কোনও বিশেষ ব্যক্তি আমেরিকায় থাকতে পারেন না, তাহলে সেই মুহূর্তেই তার আমেরিকায় থাকার আইনি অধিকার খর্ব হবে, এতটাই সহজ বিষয় এটা।'


সম্প্রতি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের ছাত্র মাহমুদ খলিলের গ্রেফতারির ঘটনার প্রসঙ্গেই এই বক্তব্য রেখেছিলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইজরায়েল হামাস যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অপরাধে গ্রিন কার্ডধারক হওয়া সত্ত্বেও শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করে মার্কিন পুলিশ। আর তারপর থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার মাহমুদ খলিলের গ্রিন কার্ডের বৈধতা খর্ব করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। তার প্রতিবাদকে হামাস বাহিনীর সংযুক্ত কার্যকলাপ বলে দেগে দেওয়া হয়েছে।


১৯৫২ সালে একটি আইন পাশ হয়েছিল মার্কিন অভিবাসন এবং জাতীয়তা আইন নামে যার অধীনে মার্কিন প্রশাসন যদি মনে করেন কোনও অভিবাসীর নাগরিকত্ব বা অস্তিত্ব আমেরিকার বৈদেশিক নীতির জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে, তার গ্রিন কার্ড থাকলেও তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে। সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসীদের জন্য প্রস্তাব রেখেছেন 'ট্রাম্প গোল্ড কার্ড'-এর যা আদপে একটি ইনভেস্টর ভিসা প্রোগ্রাম, এর অধীনে দেশে ৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করলেই মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে।


সেই সাক্ষাৎকারেই মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জানান যে, ভবিষ্যতে আরও বেশ কিছু অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হবে। সেই সংখ্যাটা কত বাড়বে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। দেশের যদি মনে হয় যে কোনও ব্যক্তির অস্তিত্ব ইতিবাচক নয়, তাহলেই সেই অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হবে।    


আরও পড়ুন: Mutual Fund: বাজারে পরপর পতন ! এর মধ্যেও দুরন্ত রিটার্ন দিয়েছে এই ৫ ফান্ড; টাকা রেখেছিলেন ?