জয়দীপ হালদার, রায়দিঘি: বৌভাতের অনুষ্ঠানের দিন গলায় দড়ির ফাঁস লাগা অবস্থায় উদ্ধার বরের দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে রায়দিঘির শঙ্কররোড এলাকার একটি গেস্ট হাউসে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক। তাঁর নাম রামেশ্বর হালদার। ৩২ বয়সী ওই ব্যক্তি রায়দিঘির কৌতলার উত্তরপাড়ার বাসিন্দা। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় স্কুল শিক্ষক রামেশ্বর। সোমবার তাঁর সঙ্গে স্থানীয় তালতলার বাসিন্দা এক তরুণীর বিয়ে হয়। বিয়ের পরের দিনই মঙ্গলবার প্রীতিভোজের অনুষ্ঠানের জন্য শঙ্কররোডের কাছে একটি গেস্ট হাউস ভাড়া করা হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে অনুষ্ঠানের জন্য তোড়জোড় শুরু করেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু আচমকা বিকেল ৩টে নাগাদ বিশ্রাম নেওয়ার নাম করে গেস্ট হাউসের একটি ঘরের ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন রামেশ্বর।


দীর্ঘক্ষণ কোনও আওয়াজ না পেয়ে সন্দেহ হয় আত্মীয়দের। অনেক ডাকাডাকির পরও কোন শব্দ না পেয়ে দরজা ভাঙা হয়। আর দরজা ভাঙতেই তাঁরা দেখেন গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে রামেশ্বরের নিথর দেহ। স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে নব বধূ। শোকের ছায়া নেমে আসে দুই পরিবারে। খবর পেয়ে রায়দিঘি থানার পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। তবে ঠিক কী কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশায় মৃতের পরিবার।পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে মৃত দেহটির ময়নাতদন্ত হয় ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।