নয়াদিল্লি: আগামী ১৪ এপ্রিল মধ্যারাতে লকডাউন উঠে যাচ্ছে কি না, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া বাকি।কিন্তু লকডাউন তুলে নেওয়া হলেও আপাতত স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এই মুহূর্তে না খোলাই ভাল, এমনটাই সুপারিশ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাজনাথ সিংহের পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের একটি বৈঠকে সুপারিশ করা হয়, লকডাউন উঠুক বা না উঠুক, আপাতত দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিং মল ও ধর্মীয় জমায়েত বন্ধ রাখা হোক। ওই বৈঠকের সুপারিশ, ১৪ এপ্রিলের পরও আরও ৪ সপ্তাহ স্কুল কলেজ বন্ধ রাখা হোক। এমনিতেই মে মাসের মাঝামাঝি থেকে জুন মাসের শেষ অবধি চলে গরমের ছুটি। তাই পড়ুয়াদের সুরক্ষার কথা ভেবেই করোনা পরিস্থিতিতে আপাতত বন্ধই রাখা হোক ক্লাসরুম স্টাডি। সেই সঙ্গে ধর্মীয় জমায়েতগুলির উপরও নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখা হোক আরও কিছুদিন, মত মন্ত্রীদের।
মঙ্গলবারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বৈঠকে আলোচনা হয় এই পরিস্থিতিতে কী কী পদক্ষেপ করলে অতিমারী করোনাকে ঠেকানো যাবে। তার উপর আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্তই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তাই লকডাউন উঠে গেলেও কোন কোন বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখা প্রয়োজন তা নিয়ে আলোচনা হয়। মন্ত্রীদের একাংশ বলেন, এই পরিস্থিতিতে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে গেলে রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে কথা বলাও জরুরি। এছাড়াও এদিনের বৈঠকে হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমানে করোনা পরীক্ষার কিটের জোগানের ব্যাপারেও আলোচনা হয়। এই নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলছেন বিরোধী দল ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
বৈঠকে হাজির ছিলেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল প্রমুখ।
সূত্রের খবর, বৈঠকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে সঙ্গে শপিং মল গুলিও আপাতত না খোলার সুপারিশ করা হয়।
তাছাড়াও আলোচনায় উঠে আসে আরও কয়েকটি বিষয়। যেমন লকডাউন উঠলেও যেন আন্তঃরাজ্য যাতায়াতে নিয়ন্ত্রণ রাখা হয়। গণপরিবহন ব্যবস্থাও যেন নির্দিষ্ট একটি সময় চালু থাকে। অফিসগুলিতেও যাতে কম সংখ্যক কর্মী একসঙ্গে হাজির হয়।