সুরাত, গুজরাত: অন্যদিনের মতোই কাজ চলছিল কারখানায়। সবই ছিল ছন্দে। হঠাৎ লাঠি ও ধারাল অস্ত্র হাতে কারখানার মালিকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল দুজন। বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিল মালিকের বাবা ও কাকা। তাঁদের উপরেও হল হামলা। শেষপর্যন্ত রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন ৩ জনই। মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে কারখানা চত্বরে।
রবিবার গুজরাতের সুরাতে শ্রমিক-অসন্তোষে কারখানার মালিক-সহ ৩ জনকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। চাকরি থেকে অপসারণের জেরে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছে পুলিশ। হামলার ঘটনায় ২ নাবালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজে বন্দি ঘটনা:
কারখানার ভিতরে তখন স্বাভাবিক কাজকর্ম চলছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, অন্যান্য কর্মরত শ্রমিকের সামনে দিয়েই লাঠি হাতে হেঁটে যাচ্ছে দু'জন আততায়ী। একজনের পরনে সাদা কালো চেক শার্ট। অন্যজনের পরণে গোলাপি টি শার্ট। এরপরই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, প্রথমে এই ব্যক্তির উপর লাঠি নিয়ে হামলা চালাল গোলাপি টি-শার্ট পরা এই ছেলেটি। পাশ থেকে সাদা-কালো চেক শার্ট পরা ছেলেটি এসে এলোপাথারি কোপাতে শুরু করল ওই ব্যক্তিকে। এরপর ছুটে পালাল দুই হামলাকারী। সিঁড়ি থেকে উল্টে পড়লেন রক্তাক্ত জখম ব্যক্তি।
গুজরাতের সুরাতে শ্রমিক-অসন্তোষে কারখানার মালিক-সহ ৩ জনকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। চাকরি থেকে অপসারণের জেরেই হামলা বলে মনে করছে পুলিশ। ঘটনায় ২ নাবালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কারখানার মালিক ও তাঁর বাবাকে হামলা থেকে বাঁচাতে গেলে মৃত্যু হয় কাকারও। পুলিশ সূত্রে খবর, নাইট শিফটে ঘুমোনোর জন্য ১০দিন আগে এক শ্রমিককে বরখাস্ত করা হয়েছিল। রবিবার সকালে তা নিয়ে মালিকের সঙ্গে বচসা হয়। সে ছবিও ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। এমন ঘটনায় সিট গঠন করে তদন্তে নামা হয়েছে গুজরাত পুলিশের তরফে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের সন্দেহ, মালিকের সঙ্গে ঝগড়ার পরেই অনলাইনে ছুরি কেনে অভিযুক্ত।
নিহতরা কারা?
এই হামলায় মারা গিয়েছেন কল্পেশ ঢোলাকিয়া, ধানজি ঢোলাকিয়া, ঘনশ্যাম রাজোরিয়া।
গুজরাত মানেই বড় শিল্পের প্রসার। কর্মসংস্থানেরেও প্রচুর সুযোগ। সেখানেই এমন ঘটনায় চড়েছে রাজনৈতিক তরজাও। বিজেপিকে নিশানা করেছে তৃণমূল ও সিপিএম। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এই ঘটনার পিছনে কোনও চক্রান্ত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: চিন-পাকিস্তানকে আলাদা রাখাই নীতি ছিল এতদিন, মোদি সরকারের ‘ভুল’ ধরিয়ে দিলেন রাহুল