গুজরাত: মোদির রাজ্যে অনেক এগিয়ে বিজেপি। এদিন নির্দিষ্ট সময়েই  গুজরাত-হিমাচলে ভোটগণনা শুরু। ১৩০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ৪৮টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। আপ এগিয়ে রয়েছে ২টি আসনে। অন্যান্যরা এগিয়ে ২টি আসনে।হিমাচল প্রদেশে বিজেপি-কংগ্রেস জোর টক্কর। হিমাচলে ৩২টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ৩৩টি আসনে। অন্যান্যরা ৩টি আসনে এগিয়ে।


পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনে বাকি দু'বছর এখনও। তার আগে প্রদেশ রাজনীতিতে ভাগ্য পরীক্ষা রাজনৈতিক দলগুলির।  আজ দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের দিন। এক দিকে, হাই ভোল্টেজ গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের (Gujarat Assembly Election 2022) গণনা চলছে। অন্য দিকে, হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের (Himachal Pradesh Assembly Election 2022) ফলাফলও আজই প্রকাশিত হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শুরু। আর দুই রাজ্যেই ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে। দুই রাজ্য়েই এতদিন প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল বিজেপি (BJP) এবং কংগ্রেস (Congress)। এ বার ময়দানে পদার্পণ ঘটেছে আম আদমি পার্টির (AAP)। তাতে বিজেপি, কংগ্রেস, দুই দলের ভোটবাক্সেই প্রভাব পড়বে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।


চলতি মাসের ১ এবং ৫ ডিসেম্বর গুজরাতে দুই দফায় ভোটগ্রহণ হয়। হিমাচলপ্রদেশে ভোটগ্রহণ হয় তারও আগে, ১২ নভম্বর। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট নিয়ে যদিও শুরু থেকেই বিবাদ ছিল। একসঙ্গে ফলঘোষণা হলেও, ভোটগ্রহণ কেন একসঙ্গে হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছেন বিরোধীরা। অভিযোগ উঠছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যে গুজরাতের ভূমিপুত্র, সেখানে মর্যাদার লড়াই বিজেপি-র। আবার ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে হিমাচলেও জয়ী হওয়া প্রয়োজন তাদের। তবে সেখানে বার বার মুখ্যমন্ত্রী বদল, দলীয় কোন্দল তাদের মাথাব্যথার কারণ।


আরও পড়ুন, ভবিষ্যতের নিরাপত্তা বিজেপি-র কাছেই, বললেন গুজরাতে বিজেপি-র প্রার্থী হার্দিক


চেষ্টায় যদিও কোনও ত্রুটি রাখেনি বিজেপি। গুজরাত এবং হিমাচল, দুই রাজ্যেই মোদি, শাহ, জেপি নাড্ডা-সহ দলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরা দফায় দফায় প্রচার চালিয়েছেন দলের হয়ে। ঘোষণা করেছেন একাধিক জনমোহিনী প্রকল্পের। কিন্তু নির্বাচনের ঠিক আগে, গুজরাতের মোরবিতে ঝুলন্ত সেতু বিপর্যয় অস্বস্তিতে ফেলে দেয় বিজেপি-কে। সেতু ছিঁড়ে পড়ে শিশু-সহ শতাধিক মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয় সরকারি দুর্নীতি এবং কারচুপিকে। ঘড়ি তৈরির সংস্থাকে কোন যুক্তিতে সেতু তৈরির বরাত দেওয়া হল, স্বাস্থ্যপরীক্ষা ছাড়াই কেন খুলে দেওয়া হল সেতু, নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে কেন বেশি লোক তোলা হল, সংস্থার মালিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করে, কেন খেটে খাওয়া টিকিট বিক্রেতা, নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করা হল ওঠে প্রশ্ন।