Vadodora Bridge Collapse Case: গুজরাতের ভাদোদরা জেলার গম্ভীরা সেতু ধসের ঘটনাস্থল থেকে একটি হৃদয়বিদারক ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে। যেখানে একজন মহিলাকে দেখা যাচ্ছে তিনি যন্ত্রণায় চিৎকার করছেন এবং তাঁর ডুবে (Gujarat Bridge Collapse) যাওয়া ছেলেকে বাঁচানোর জন্য পাশের লোকদের ডেকে আর্তনাদ করছেন। ভিডিয়োতে সেই মহিলাকে বলতে শোনা যায়, 'আমার ছেলে জলে ডুবে যাচ্ছে !' ব্রিজ ভেঙে পড়ার পরে সারা এলাকায় বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জন মারা গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে মহিলাটি তাঁর ছেলে, মেয়ে, স্বামী এবং জামাইকে নিয়ে বাগদানা যাচ্ছিলেন, আর সেই সময় সেতুটি ভেঙে পড়ে। তিনি গাড়ির ট্রাঙ্কের কাছে বসে ছিলেন এবং কাচ ভেঙে পালিয়ে যেতে সক্ষম (Gujarat Bridge Collapse) হন। তবে গাড়িটি লক হয়ে যায়, তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যরা ভেতরে আটকা পড়ে যান এবং এটি মহীসাগর নদীতে পড়ে যায়।

বুধবার সকালে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় দুই ভাইবোন সহ দশজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। গম্ভীরা সেতুর চার দশকের পুরনো একটি অংশ ধসে পড়ার পরে বেশ কয়েকটি গাড়ি নদীতে পড়ে যাওয়ার পরে ঘটনাস্থল থেকে ৯ জনকে উদ্ধার করা হয়।

বুধবার ভাদোদরা এবং আনন্দকে সংযোগকারী গম্ভীরা সেতুর একটি বড় অংশ ধসে পড়ার পরেই এই ঘটনা ঘটে। পাঁচটি গাড়ি, দুটি ট্রাক, দুটি ভ্যান এবং একটি অটোরিকশা নদীতে পড়ে যায়। ভাদোদরার কালেক্টর অনিল ধামেলিয়া নিশ্চিত করেছেন যে এই ঘটনায় ৯ জন মারা গিয়েছেন। আরও ৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার আট ঘণ্টা পরেও ধসে যাওয়া সেতুর উপরে একটি ট্যাঙ্কার (Gujarat Bridge Collapse) এখনও বিপজ্জনকভাবে ঝুলছে। ট্যাঙ্কারের চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়েছেন কোনওভাবে, এখনও তিনি নিখোঁজ। ক্রেন ও জেসিবি ব্যবহার করে উদ্ধার অভিযান চলছে, জলে ডুবে থাকা একটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। নিহতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন তিনি। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলও নিহতদের প্রতিটি আত্মীয়ের জন্য ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। এই ঘটনায় বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পটেল। ঘটনাস্থলে ইঞ্জিনিয়ার ও বিশেষজ্ঞদের পাঠানো হয়েছে।

আধিকারিকদের মতে প্রায় ৯০০ মিটার দীর্ঘ সেতুর ২৩টি স্প্যানের মধ্যে একটি ভেঙে পড়েছে। ১৯৮৫ সালে নির্মিত এই সেতুটি আগে থেকেই নিরাপত্তার কারণে চিহ্নিত করা হয়েছিল এবং ৩ মাস আগেই ২১২ কোটি টাকার একটি নতুন সেতুর অনুমোদন করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।