কলকাতা: ছটপুজোর (Chhat Puja) সন্ধেতেই গুজরাতের (Gujrat) মোরবিতে বিপর্যয়। প্রধানমন্ত্রীর গুজরাত সফরের মধ্যেই মাচ্ছু নদীর ওপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ঝুলন্ত সেতু। গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার সময় ব্রিজের ওপর কম করে ১৫০ জন ছিলেন। যাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে চরম রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীদের প্রশ্ন, ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই কীভাবে খুলে দেওয়া হল এই সেতু? উঠেছে সিবিআই তদন্তের দাবি। তৃণমূলের কটাক্ষ, বাংলা থেকে বিজেপি নেতাদের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠানো হোক! পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপিও।
তৃণমূলের তরফে বলা বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলা হয়েছে, ‘বঙ্গ বিজেপির নেতাদের নিয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি করুক। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গড়ে কত কোটির দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনুক। আগে গুজরাত সামলান, তারপর বাংলার কথা ভাববেন।" রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, "ভারতের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই বলুন, যাঁরা গুজরাত থেকে সারা দেশ পরিচালনা করছে, এখান কার বিজেপি নেতাদের নিয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গড়ে ব্রিজ পরিদর্শনে পাঠানো হোক, এর মধ্যে কত কোটি টাকা দুর্নীতি আছে, এরা তো শুধু পশ্চিমবঙ্গকে ডিসটার্ব করবে"।
আরও পড়ুন, মোদির সফর চলাকালীন গুজরাতে নদীতে ভাঙল ব্রিজ, ৪০ থেকে ৫০ জনের তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা
এই ঘটনা নিয়ে টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি টুইটে লেখেন, "গুজরাতের মোরবিতে ব্রিজ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে অত্যন্ত উদ্বেগে রয়েছি। অনেক মানুষের প্রাণ গিয়েছে। অনেকে এখনও আটকে রয়েছেন। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল। যারা আহত হয়েছেন তাঁরাও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।"
এই ঘটনা নিয়ে টুইট করেছেন রাহুল গাঁধীও। তিনি লেখেন, ‘গুজরাতের মোরবিতে ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনা দুঃখজনক। দুর্গতদের পরিবারকে সমবেদনা। দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের সাহায্য করতে পাশে থাকুক কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। নিখোঁজদের খোঁজ পেতে সাহায্য করুন’।