আমদাবাদ: বিজেপি শাসিত গুজরাতে (Gujrat) নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সফর চলাকালীন মোরবিতে ভেঙে পড়ল কেবল ব্রিজ (Cable Bridge)। ব্রিজে থাকা ৪০০ জনের মধ্যে ২৫ জন শিশু সহ ৮০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা, নিখোঁজ ৫০। গুজরাত বিধানসভার আগে মোরবিতে ব্রিজ বিপর্যয়ে রীতিমত মৃত্যুমিছিল। যাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে তরজা।  


সামনেই গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন। ঠিক তার আগে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় ঘটে গেল প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্যে। বিরোধীদের এবং স্থানীয়দের প্রশ্ন, ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই কীভাবে খুলে দেওয়া হল এই সেতু? উঠেছে সিবিআই তদন্তের দাবি। মেরামতির ৪ দিনের মাথায় গুজরাতের মোরবিতে মাচ্ছু নদীর ওপর ভেঙে পড়ল কেবল ব্রিজ। আর এই বিপর্যয় নেমে এল প্রধানমন্ত্রীর গুজরাত সফরের মধ্যেই। 


এখন প্রশ্ন উঠছে একাধিক। 



  • সেতু বিপর্যয়ের দায় কার? 

  • ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই কার নির্দেশে খোলা হল ব্রিজ?

  • পুরনো এই সেতুর ভারবহন ক্ষমতা যত, তার চেয়ে বেশি লোক উঠল কী করে?

  • সেতুতে ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা কেন করা হয়নি?          



সামনে এসেছে দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তের একটি ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে, একসঙ্গে অনেকে উঠে পড়েছেন ওই কেবল ব্রিজের ওপরে। বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটে ফায়দা তুলতেই তড়িঘড়ি সেতু খুলে দিয়ে বিপদ ডেকে এনেছে সে রাজ্যের শাসক দল বিজেপি।                                          


আরও পড়ুন, 'পোস্তা ব্রিজ-বিপর্যয়ে কতজনের শাস্তি হয়েছে?' গুজরাতের সেতু দুর্ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে পাল্টা নিশানা শমীকের



মোরবি সেতু বিপর্যয়ের পরে, ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রাজ্য সরকার। রবিবার রাতেই ঘটনাস্থলে যান গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল। বিপর্যয়ের পরপরই প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করেন, মোরবিতে যে বিপর্যয় ঘটেছে, তাতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল-সহ অন্য আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। পুরোদমে চলছে উদ্ধার কাজ। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।                              


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ট্যুইটারে দুঃখপ্রকাশ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশ্বাস দেন।