মোরবি: গুজরাতে প্রধানমন্ত্রীর সফর চলাকালিন মোরবিতে ভেঙে পড়েছে ব্রিজ। আহত হয়েছেন প্রচুর মানুষ। ভোটের মুখে গুজরাতে ভয়ঙ্কর সেতু বিপর্যয়। ঘটনার শোক প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর তরফে বলা হয়েছে, "আমি গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সিংভি এবং রাজ্যের অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। স্থানীয় প্রশাসন ত্রাণ কাজে ইতিমধ্যেই হাত লাগিয়েছে। এনডিআরএফও শীঘ্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। আহতদের অবিলম্বে চিকিৎসা করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে।"
মাচ্ছু নদীতে প্রায় ১৫০ জনকে নিয়ে ভেঙে পড়ে এই ব্রিজটি। রাজকোটের সাংসদের তরফে দাবি করা হয়েছে প্রায় ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ২৫ জন শিশু। যে ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, ব্রিজ ভেঙে পড়ার মুহূর্তে কেবল ধরে বাঁচার শেষ চেষ্টা করছে মানুষ। প্রসঙ্গত, ১৮৭৯ সালে ব্রিজটি তৈরি হয়েছিল। মেরামতির জন্য সাত মাস বন্ধ ছিল ব্রিজটি। কংগ্রেসের অভিযোগ নির্বাচনের জন্য তড়িঘড়ি চালু করা হয়েছিল ব্রিজটি। অন্যদিকে, দুর্নীতির কারণেই ভেঙে পড়েছে ব্রিজ, অভিযোগ বিরোধীদের। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি আপের।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র পটেল ও অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন মোদি। দ্রুত উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য সব রকম ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছেন। এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দল। বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। মোদির গুজরাত সফরের মধ্যেই ভেঙে পড়ল ব্রিজ। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, এই ঘটনার জেরে ৪০ থেকে ৫০ জনের তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দুর্ঘটনার সময় ওই ব্রিজের ওপর ৪০০ জনের থাকার সম্ভাবনা। এই ঘটনার পর গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীকেও ফোন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), এমনটাই সূত্রের খবর। প্রধানমন্ত্রী মোদি উদ্ধার কার্যের জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে একযোগে কাজ করার অনুরোধ করেছেন। অন্যদিকে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী আহতদের অবিলম্বে চিকিত্সার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন।