নয়া দিল্লি: মধ্যবিত্ত শখ মেটাতে এখন ভরসা করে ইএমআইতেই। ক্রেডিটে কেনা জিনিসের টাকা অল্প অল্প করে সুদ দিয়ে কেনায় অভ্যস্ত হয়েছেন অনেকেই। কিন্তু তাই বলে ঘুষ নেওয়া হচ্ছে কিস্তিতে? এমন ঘটনাই ঘটেছে গুজরাতে। পিটিআই প্রকাশিত গুজরাট দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তরফে জানতে পারা গিয়েছে, চলতি বছরের মার্চ মাসে SGST বিলিং কেলাঙ্কারির ঘটনায় এক ব্যক্তির কাছে ২১ লক্ষ টাকা ঘুষ চাওয়া হয়েছিল। একবারে তা দেওয়া সম্ভব নয় জেনেই ২ লক্ষ করে ন’টি কিস্তিতে এবং ১ লক্ষ টাকার অন্তিম কিস্তির ব্যবস্থা হয়।


গুজরাতের বেশ কিছু সরকারি আধিকারিকরা ঘুষ নেওয়ার ক্ষেত্রে মাসিক কিস্তি শুরু করেছিল। গুজরাট দুর্নীতি দমন ব্যুরো (ACB) বৃহস্পতিবার রিপোর্ট করেছে যে এই বছর অন্তত দশটি এই ধরনের ঘটনা সামনে এসেছে। 


কীভাবে হয় এই কাজ? 


কোনও সরকারি কাজের জন্য ঘুষ নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকে হয়তো একবারে পুরো টাকা দিতে পারেন না। তখন নিজেরা কথা বলে তা মাসিক কিস্তি করে নেওয়া হয়। কাজ শেষ হওয়ার আগে এক কিস্তি, শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় কিস্তি দেওয়া হয়।- এইভাবে গোটা কাজটি চলছিল, এমনটাই জানান হয়েছে পিটিআইয়ের প্রতিবেদনের মাধ্যমে। কিন্তু সেই কাজের সময় এক ব্যক্তি দ্বিতীয় কিস্তি নেওয়ার আগে দুর্নীতি দমন ব্যুরো (ACB)-তে এসে সমস্ত বিস্তারিত বিবরণ দেন এবং প্রকাশ্যে আনেন এই ঘটনাটি। 


এসিবির একজন সিনিয়র আধিকারিক তথা এসিবি ডিরেক্টর এবং ডিজিপি (আইন ও শৃঙ্খলা) শমসের সিংয়ের মতে, যেমন বাড়ি, গাড়ি বা কোনও মূল্যবান জিনিস কিনতে ইএমআই দেওয়ার প্রচলন আছে। সরকারী সংস্থাগুলিতে ঘুষের ক্ষেত্রে একই পদ্ধতি অবলম্বন করছে। এটি আইসবার্গের মাথা-মাত্র। আমাদের কাছে যারা আসেন তাঁরা সেই সকল সরকারি সংস্থায় ডাউন পেমেন্ট করার পর যোগাযোগ করেছেন।


গত ৪ এপ্রিল সুরাটের একটি পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান কৃষিজমির একটি কাজের জন্য জনৈক গ্রামবাসীর কাছ থেকে ৮৫ হাজার টাকা ঘুষ চান। ওই গ্রামবাসীর আর্থিক অবস্থা ভালো নয়, সেকথা বিবেচনা করে কিস্তিতে ঘুষ দেওয়ার কথা বলেন ‘সদয়’ উপ-প্রধান। সেই ঘটনাটিই এবার সামনে এসেছে।              


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে