গাঁধীনগর (গুজরাত : আজই গুজরাতে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় তওতে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে উপকূলবর্তী এলাকা থেকে প্রায় এক লক্ষ মানুষকে সরিয়ে আনল গুজরাত প্রশাসন। 


এই মুহূর্তে রাজ্য থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে তওতে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পোরবন্দর এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় তারা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।


ভারতীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আজ সন্ধ্যা নাগাদ উত্তর-উত্তরপশ্চিম হয়ে গুজরাত উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় তওতে। ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার গতিবেগে ভাবনগর জেলার পোরবন্দর ও মহুবা এলাকা অতিক্রম করতে পারে।


IMD আর জানিয়েছে, গুজরাত রিজিয়নের ভালসাড়, নভসারি, দমন, দাদরা নগর হাভেলি এবং সৌরাষ্ট্রের গির সোমনাথ, আম্রেলি, ভাবনগর, জুনাগড়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।


গুজরাতের রেভিনিউ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব পঙ্কজ কুমার জানিয়েছেন, "৬৫৫টি নীচু ও উপকূলবর্তী এলাকা থেকে ৯৫ হাজার ৪৮৫ জনকে সরিয়ে আনা হয়েছে। তাঁদের নিরাপদ জায়গায় রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির মোকাবিলায় বন দফতরের ২৪০টি দলকে মোতায়েন করা হয়েছে। রাস্তা ও আবাসন দফতরের ২৪২টি দল রয়েছে। বিদ্যুৎ লাইনের সমস্যার মোকাবিলায় ৬৬১টি দলকে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও সংকটের মোকাবিলায় তৈরি রয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের ৩৮৮টি দল এবং রেভিনিউ অফিসারদের ৩১৯টি দল। গোটা রাজ্যজুড়ে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৪১টি দল নিযুক্ত রয়েছে। এছাড়া তিনটি দলকে রিজার্ভে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১০টি দলও রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ১৬১টি ICU অ্যাম্বুল্যান্স ও ১০৮-এর ৫৭৬টি অ্যাম্বুল্যান্স মোতায়েন রয়েছে।"


দ্রুত অক্সিজেন সরবরাহের জন্য রাজ্য সরকার ৩৫টি গ্রিন করিডর করে রেখেছে। অন্যদিকে জমা জল বের করার জন্য ৪৫৬টি পাম্পেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তার খাতিরে শহরাঞ্চল থেকে ২ হাজার ১২৬টি ও গ্রামীণ এলাকার ৬৪৩টি হোর্ডিং খুলে ফেলা হয়েছে। অস্থায়ী ৬৬৮টি কাঠামোও সরানো হয়েছে।