আমদাবাদ: নির্ঘণ্ট প্রকাশ হতেই গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের (Gujarat Assembly Elections 2022) প্রথম প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করল কংগ্রেস (Congress)। শুক্রবার সন্ধ্যায় ৪৩ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে গুজরাত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অর্জুন মোধওয়াদিয়াকে পোরবন্দর থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। গাঁধীনগর দক্ষিণ থেকে প্রার্থী হিমাংশু পটেল। হিতেশভাই বোহরা প্রার্থী হচ্ছেন রাজকোট দক্ষিণে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভরত সোলাঙ্কি গাঁধীধামের প্রার্থী।
গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রথম প্রার্থিতালিকা প্রকাশ কংগ্রেসের
অতি সম্প্রতিই কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মল্লিকার্জুন খড়্গে। শুক্রবার কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেখানেই বেশ কয়েক জনের নাম চূড়ান্ত হয় বলে জানা গিয়েছে। ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠকে শামিল হন প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীও। বাকিরা যদিও দিল্লিতে দলের সদর দফতরে সশরীরে হাজির ছিলেন।
কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির সাধাকণ সম্পাদক মুকুল ওয়াসনিক এবং কেসি বেণুগোপালও বৈঠকে ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন মোহসিনা কিদওয়াই, গিরিজা ব্যাস, অম্বিকা সোনিও। সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির গুজরাত বিভাগের প্রধান রঘু শর্মা এবং গুজরাতে কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক জগদীশ ঠাকোরও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।
এর আগে, ২০১৭ সালে গুজরাতে তুলনামূলক ভালই ফল করেছিল কংগ্রেস। সেখানে ১৮২ আসনের বিধানসভায় ৭৭টি আসন পেয়েছিল তারা। প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ৪১.৪ শতাংশ। এ বার সেই ভোটের প্রাপ্তিত ১২ শতাংশ কমতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে সমীক্ষায়। বিজেপি ৪৫.৪ শতাংশ ভোট পেতে পারে, তবে এ বারে ভোটের প্রাপ্তি কমতে পারে তাদেরও।
বিজেপি ও কংগ্রেসকে কড়া টক্কর দিতে প্রস্তুত আপ
এ বারেই প্রথম গুজরাত বিধানসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। তবে শুরুতেই তারা ছক্কা হাঁকাতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। একধাক্কায় তাদের দখলে ২০ শতাংশের বেশি ভোট যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মূলত কংগ্রেসের ভোটেই তারা ভাঙন ধরাবে বলে ধারণা তাঁদের। তবে মোরবির সেতু বিপর্যয়ের পর বিজেপি-র কিছু ভোটও হাতছাড়া হতে পারে। ‘
উল্লেখ্য, শুক্রবার গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীও ঘোষণা করে দিয়েছে আপ। টেলিভিশন সঞ্চালক ইসুদান গড়বীকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করেছে তারা। এর এ দিনই কংগ্রেসে ফিরে এসেছেন ইন্দ্রনীল রাজ্যগুরু। মাস ছয়েক আগে কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করে আপে যোগদান করেন তিনি। আপের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী পদ পাওয়ার জন্য তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন ইন্দ্রনীল। যদিও তাঁর প্রত্যাবর্তনে দল লাভবান হবে বলেই মনে করছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।