আমদাবাদ : গুজরাতের পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Gujarat Panchayat Elections) ফল প্রকাশ। গত রবিবার ভোট গ্রহণ হয়েছিল। মঙ্গলবার সারাদিন ধরে গণনার পর এদিনও চলছে ভোট গণনা (Vote Counting)। গুজরাতের রাজ্য নির্বাচন কমিশন (Gujrat State Election Commission) মঙ্গলবার রাতের দিকে ৮ হাজার ৬৮৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৬ হাজার ৪৮১ টির ফলাফল ঘোষণা করেছে।


গুজরাতের এই পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিশেষত্ব হল, কোনও প্রার্থীই কোনও দলীয় প্রতীকের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। তারা প্রত্যেকেই দাঁড়িয়েছেন ব্যক্তিগত পরিচয়ে। অনেক প্রার্থী এমন রয়েছেন যাদের রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগ রয়েছে, কিন্তু ভোটের মঞ্চে নামার সময় কোনও প্রার্থীই পাননি দলীয় প্রতীক। পাশাপাশি পরে তারা কোনও দলে যুক্ত হতে পারেন, এমন রাস্তাও খোলা। কিন্তু ভোটে দাঁড়ানোর সময়ে কেউই দলীক প্রতীক পাননি। কোনও দলীয় প্রতীক সেভাবে না থাকলেও আসলে নির্বাচন তো আর রাজনৈতিক প্রভাব ব্যতিত থাকে না, তাই এই ভোটের ফলাফল সামনে আসার পরই গুজরাতের একাধিক জায়গা থেকে রাজনৈতিক সংঘর্ষের খবর সামনে এসেছে।


আগামী বছরের ডিসেম্বরে গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচন। ঠিক একবছর আগের এই পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে তাই বিভিন্ন মহলের উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। তবে গুজরাতের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়েছিল ব্যালট পেপারে। তার জেরেই ভোট গণনার ক্ষেত্রে অনেকটা সময় লাগছে। দেশজুড়ে ওমিক্রন (Omicron) আতঙ্ক ও করোনা আবহের জেরে পঞ্চায়েত নির্বচন আয়োজিত করা হয়েছিল যাবতীয় কোভিড বিধি মেনে। মাস্ক-স্যানিটাইজার ব্যবহার, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো একান্ত পালনীয় কোভিড বিধি মেনে বিভিন্ন এলাকায় ভোট গ্রহণ হয়।


আরও পড়ুন- মরুরাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেস-ঝড়, পিছিয়ে বিজেপি


এদিকে, রাজস্থানের চারটি জেলায় সম্প্রতি শেষ হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেখানে দাগই কাটতে পারল না পদ্ম শিবির। বরং ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আধিপত্য বজায় রাখল কংগ্রেস। এই পঞ্চায়েত সমিতি নির্বাচনে, কংগ্রেস পেয়েছে ২৭৮টি আসন এবং বিজেপি পেয়েছে ১৬৫টি আসন।  বারান, কোটা, গঙ্গানগর এবং করৌলি চারটি জেলায় ৫৬৮ সদস্যের জন্য ৩০টি কমিটি গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচন হয়। মঙ্গলবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের জারি করা তথ্য অনুসারে, এই নির্বাচনে ১৪টি আসন পেয়েছে বিএসপি, ১৩টি সিপিআই(এম) এবং ৯৭টি আসন পেয়েছে নির্দল প্রার্থী।