নয়াদিল্লি: একমাসের বেশি সময় কেটে গেলেও, এখনও অগ্নিগর্ভ উত্তর-পূর্বের মণিপুর। এবার বিজেপি শাসিত গুজরাতেও ছড়াল হিংসা। মসজিদ ভাঙার নোটিসকে ঘিরে ধুন্ধুমার বাধল জুনাগড়ে (Junagadh Violence)। তাতে এক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন পুলিশের চার জন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৭৪ জনকে আটক করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। দরগার বাইরে দুই ব্যক্তিকে পেটানোর অভিযোগ উঠছে তাদের বিরুদ্ধে। তা থেকেই পরিস্থিতিত উত্তাল হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ (Gujarat News)।
গুজরাতের জুনাগড় জেলায় শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। জুনাগড় পৌরসভার পুলিশ সুপার এমএ ছাবড়া জানিয়েছেন, গত ১৪ জুন মাজেওয়াড়ি গেটের গেবান শাহ মসজিদকে নোটিস ধরানো হয়। পাঁচ দিনের মধ্যে সঠিক নথিপত্র জমা দিতে না পারলে মসজিদ ভেঙে ফেলা হবে বলে জানানো হয় নোটিসে। ১৪ তারিখের নোটিস হলেও, মসজিদের গায়ে সেটি লাগানো হয় ১৬ জুন। তাতেই শুক্রবার রাতে মসজিদের কাছে ৫০০-৬০০ জনের জমায়েত হয়।
এসপি ছাবড়া জানিয়েছেন, ডেপুটি সুপার, তাঁর অধীনস্থ পুলিশকর্মীরদের বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিড়কে বোঝানোর চেষ্টা করে। তাতে ৪৫ মিনিট ব্যয় হয়। রাস্তার উপর থেকে ভিড় সরানোর চেষ্টাও করা হয়। তাতেই রাত সওয়া ১০টা নাগাদ পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট এবং পাথরবৃষ্টি শুরু হয়। ভিড়ের মধ্যে থেকে ধ্বনি দেওয়া শুরু হয়। তাতে লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসের শেল এবং ডাই মার্কার গ্রেনেড ফাটানো হয়। ভিড়ের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে চার জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৬২ বছরের এক বৃদ্ধের। পুলিশের দাবি, তিনি ওই ভিড়ের অংশ ছিলেন না। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি দেখছিলেন। সংঘর্ষের মাঝে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
যদিও এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে। কারণ সোশ্য়াল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যাতে একটি দরগার বাইরে দুই ব্যক্তিকে পেটাতে দেখা যায় দুই পুলিশ কর্মীকে। ওই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি অবিপি আনন্দ। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, বেশ কয়েক জনকে সারিতে দাঁড় করিয়ে পুলিশ একনাগাড়ে পিটিয়ে চলে। তাতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায় বলে অভিযোগ উঠছে। যদিও জুনাগড় পুলিশ জানিয়েছে, ওই ভিডিও সম্পর্কে কিছু জানা নেই তাদের।