নয়াদিল্লি: দিল্লি-গুরুগ্রাম হাইওয়েতে যাত্রী বোঝাই চলন্ত লাক্সারি বাসে আগুন (Gurugram Bus Fire)। ঝলসে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। চলন্ত বাসে আগুন লাগার ঘটনা জখম হয়েছেন একাধিক যাত্রী। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনও নিখোঁজ এক নাবালিকা।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনও নিখোঁজ: উৎসবের মরশুমে কান্নার রোল। দীপাবলি উপলক্ষে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। কিন্তু আনন্দে মুহূর্তে বদলে গেল বিষাদে। গতকাল গুরুগ্রামে যাত্রী বোঝাই বাসে আগুন লাগে। বাসটিতে ৩৫-৪০ জন যাত্রী ছিলেন। যার মধ্যে ২৯ জন আহত হয়েছেন। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন মায়া (২৮) এবং গায়ত্রী (২৬) নামে দুই মহিলা। মায়ার পরিবারের তরফে গাফিলতি অভিযোগ তোলা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ মায়ার মেয়ে। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন বাসের চালক। পুলিশ সূত্রে খবর, বাস চালককে ইতিমধ্যেই শনাক্ত করা হয়েছে। তার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
বাসের যাত্রীদের মধ্যে অধিকাংশই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, বাসে করে ছোট গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে যাচ্ছিলেন যাত্রীরা। সেখান থেকেই আগুন লাগে বলে আশঙ্কা। পুলিশের জানিয়েছে, এখনও চিকিৎসাধীন ১৩ জন। যার মধ্যে দুজনকে গুরুতর অবস্থায় দিল্লির সাফদারজং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছর অগাস্টে মুম্বই শোলাপুর বেঙ্গালুরু উদ্যান এক্সপ্রেসে ভয়াবহ আগুন লেগে যায়। সূত্রের খবর, বেঙ্গালুরু স্টেশনে ট্রেন ঢোকার পরেই আগুন লাগে। স্টেশন চত্বরে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, এসি কামরা থেকে গলগল করে বেরোতে থাকে ধোঁয়া। সকাল ৭.৩০ নাগাদ ট্রেন পৌঁছনোর পরেই আগুন লেগে যায়। সবাই ছুটে আসেন। আশঙ্কাপ্রকাশ করেন ভেতরে কেউ আটকে পড়েছেন কি না তা নিয়ে। কিন্তু সৌভাগ্যের বিষয়, আগুন লাগার সময়, কোনও যাত্রী ট্রেনে ছিলেন না। জানা গিয়েছিল, ঘটনাটি ঘটার ২ ঘণ্টা আগেই সব যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে গিয়েছিলেন। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপর হয় দমকল। দমকলকর্মীরা B3 কোচের জানালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন। কীভাবে আগুন লাগল, তা জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটিতে একজন জুনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ গ্রেড অফিসার ছিলেন। সেই সঙ্গে মেকানিক্যাল, সিকিউরিটি এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড সেফটি বিভাগের আধিকারিকরাও ছিলেন।
আরও পড়ুন: Delhi Pollution: প্রয়োজন কেন্দ্রের সহযোগিতা, কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যয়ভার বহন করবে দিল্লি সরকার