নয়াদিল্লি: জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে সমীক্ষা চালাতে পারবে ASI (Archaeological Survey of India) বা ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ। এমনই নির্দেশ দিল বারাণসী আদালত। তবে মসজিদের সব জায়গায় বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা (Scientific Survey) চালানো যাবে না। মসজিদের ভিতরে 'ওজুখানা' ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রাখা রয়েছে। সেখানে সমীক্ষা চালানো যাবে না। হিন্দু সংগঠনের তরফে যাঁরা মামলা করেছিলেন তাঁদের দাবি ছিল, ওই  'ওজুখানা'-তেই এমন একটি নির্দশন রয়েছে যা আদতে শিবলিঙ্গ। বারাণসী আদালতের এই নির্দেশের বিরোধিতা করে উচ্চ আদালতে যেতে পারে বিরোধী পক্ষ। গত বছর একটি মামলায় ওই 'ওজুখানা' সিল করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট


ANI-সূত্রের খবর, হিন্দুদের তরফে যিনি মামলা করেছিলেন, সেই বিষ্ণুশঙ্কর জৈন বলেছেন, 'আমি জেনেছি যে আমার আবেদন গৃহীত হয়েছে এবং আদালত নির্দেশ দিয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে ASI সমীক্ষা চালাতে পারবে। ওজুখানার জায়গাটা ছাড়া।'


চলতি বছরের মে মাসে এই আবেদন করা হয়েছিল চার মহিলার তরফে। তাঁদের দাবি ছিল কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশে জ্ঞানবাপী মসজিদ আদতে প্রাচীন হিন্দু মন্দির। সেখানে মন্দিরের নির্দশন রয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা। বিষ্ণুশঙ্কর জৈন আগেও দাবি করেছিলেন, এই প্রশ্নের উত্তর তখনই পাওয়া সম্ভব যখন পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের মাধ্যমে গোটা মসজিদ চত্বরে সমীক্ষা চালানো হবে। 


দীর্ঘদিন ধরেই এই মামলা চলছে। বছরের প্রথমে এই মামলার অন্যতম পক্ষ মসজিদ কমিটি আদালতে ধাক্কা খেয়েছিল। এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছিল যাতে নিম্ন আদালতে মামলা শোনা না হয়। সেই আবেদন খারিজ করেছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।


জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে একাধিক মামলা হয়েছে, সবগুলিই শুনছে জেলা আদালত। এর আগে আদালত জ্ঞানবাপী মসজিদে ভিডিওগ্রাফি করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই ভিডিওগ্রাফি হয়েছিল। তারপরেই হিন্দু সংগঠনের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল, মসজিদের ভিতরে শিবলিঙ্গ রয়েছে। সেটির কার্বন ডেটিংয়ের দাবি করা হয়েছিল। যদিও মুসলিম মামলাকারীদের দাবি ছিল, সেটি একটি ফোয়ারার অংশ। পরে বারাণসী আদালত কার্বন ডেটিংয়ের দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়। 


১৯৯১ সালে এই জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে একটি মামলা হয় বারাণসী আদালতে। সেখানে দাবি করা হয়েছিল ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একটি অংশ ভেঙে এই মসজিদ তৈরি করা হয়। জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে পুজোর অনুমতি চেয়ে মামলা করা হয়েছিল। মামলকারীর তরফে ASI সমীক্ষার দাবি করা হয়েছিল। তারপর থেকে একাধিক মামলা হয়েছে। এখনও চলছে সেগুলো।


আরও পড়ুন: পরপর লুট, অগ্নিসংযোগ! বোনকে বাঁচাতে গিয়ে খুন ভাই! স্পষ্ট পুরনো FIR-এই