বাবরি মসজিদ ছিল,আছে, থাকবে, দাবি মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 05 Aug 2020 09:14 PM (IST)
সংগঠনের পক্ষে বিবৃতিতে সাধারণ সম্পাদক মৌলানা মহম্মদ ওয়ালি রহমানি বলেন, ‘সব সময়ে বলে এসেছি, কোনও হিন্দু মন্দির বা ধর্মস্থান ভেঙে বাবরি মসজিদ হয়নি। ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায় আমাদের সেই অবস্থানকেই স্বীকৃতি দিয়েছে। আদালত বলেছে, মসজিদের নীচে খোঁড়াখুড়ি করে যে ধ্বংসাবশেষ মিলেছে, তা দ্বাদশ শতকের কাঠামোর নিদর্শন— যা কিনা বাবরি মসজিদ নির্মাণের প্রায় চারশো বছর আগের ঘটনা।’
নয়াদিল্লি : বাবরি মসজিদ ছিল, আছে এবং চিরকাল থাকবে বলে দাবি করলে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। মঙ্গলবার অযোধ্যায় রামমন্দিরের শিলান্যাসের আগে টুইট করে তারা। ল’বোর্ড জানিয়েছে, শরিয়ত অনুসারে, কোনও জায়গায় কখনও কোনও মসজিদ নির্মিত হলে চিরকালের জন্য সেখানেই থেকে যায়। তুরস্কের হেজিয়া সোফিয়ার উদাহরণ তুলে তাঁদের টুইট, ‘জমিটি অন্যায় ভাবে অধিগৃহীত এবং সংখ্যাগরিষ্ঠকে খুশি করতেই এই রায়।’ বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি নিয়ে ২০১৯ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমির পুরোটাই রামলালার। পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছিল, অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে ৫ একর জমি দিতে। এই রায় মেনে নিতে পারেনি মুসলিম ল বোর্ড। বোর্ড টুইটে আরও বলেছে, ‘অন্যায় ভাবে জমি অধিগ্রহণ অযৌক্তিক, কষ্টকর, লজ্জাজনক। তবে ভেঙে পড়ার কারণ নেই। পরিস্থিতি চিরকাল এক থাকে না। এটাই রাজনীতি।’ সংগঠনের পক্ষে বিবৃতিতে সাধারণ সম্পাদক মৌলানা মহম্মদ ওয়ালি রহমানি বলেন, ‘সব সময়ে বলে এসেছি, কোনও হিন্দু মন্দির বা ধর্মস্থান ভেঙে বাবরি মসজিদ হয়নি। ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায় আমাদের সেই অবস্থানকেই স্বীকৃতি দিয়েছে। আদালত বলেছে, মসজিদের নীচে খোঁড়াখুড়ি করে যে ধ্বংসাবশেষ মিলেছে, তা দ্বাদশ শতকের কাঠামোর নিদর্শন— যা কিনা বাবরি মসজিদ নির্মাণের প্রায় চারশো বছর আগের ঘটনা।’ ল বোর্ডের অভিযোগ, রাম মন্দির আন্দোলন সম্পূর্ণ রাজনৈতিক আন্দোলন। এর সঙ্গে ধর্মের কোনও যোগ ছিল না। সরব হয়েছেন এআইএমআইএম নেতা আসাউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি বলেছেন ‘ বাবরি মসজিদ ওখানে ছিল, থাকবে।’ ল বোর্ড জানিয়েছে, সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাবরি মসজিদ নিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হবে।