বিটন চক্রবর্তী, হলদিয়া(পূর্ব মেদিনীপুর) : পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের আলাদা আলাদাভাবে "নানুর শহিদ দিবস" পালন। আর তা ঘিরে ফের শাসকদলের মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।


২০০০ সালের ২৭ জুলাই বীরভূমের নানুরের সূচপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ১১ জন তৃণমূল কর্মীর। আর তার নয় বছর পর, ২০০৯ সাল থেকে ২৭ জুলাই প্রত্যেক বছর হলদিয়া শহর তৃণমূল কংগ্রেস নানুর শহিদ দিবস পালন করে আসছে। 


হলদিয়া পুরসভার পাশে গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে এই অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা হলদিয়া পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজিজুল রহমান। এবছরও সেখানে একই রকমভাবে পালিত হয় নানুর শহিদ দিবস। আর এই অনুষ্ঠানস্থল থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যেই তৃণমূল যুবর উদ্যোগে পালিত হয়েছে আরও একটি নানুর শহিদ দিবস। যার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন হলদিয়া পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজগর আলি।


এ প্রসঙ্গে আজিজুল রহমানের দাবি, দলের অনুমতি নিয়েই এই অনুষ্ঠান আমি কয়েক বছর ধরে করে আসছি। কে কোথায় অনুষ্ঠান করেছেন তা আমি জানি না। যদি কেউ করে থাকেন, তবে তা দলের নীতি বিরুদ্ধ।


অন্যদিকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন আজগর আলিও। তাঁর বক্তব্য, সারা বাংলা জুড়ে তো নানুর শহিদ দিবস পালন করা হচ্ছে। তাছাড়া আমাদের বড় পরিবার। তাই ঠ্যালাঠেলি তো একটু হবেই।


উল্লেখ্য, হলদিয়া বিধানসভায় হারের জন্য এবার দলীয় নেতৃত্বের উপর ক্ষোভ জানিয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী স্বপন নস্কর। ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সেই চিঠি। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তবে তিনি নিজে চিঠি লেখেননি বলে দাবি স্বপন নস্করের। দলীয় নেতাদের চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। গোটাটাই শাসকের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব বলে কটাক্ষ বিজেপির। প্রসঙ্গত, রাজ্যজুড়ে অভাবনীয় সাফল্যের মাঝেও হলদি নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা প্রাচীন জনপদ হলদিয়ায় হার হয়েছে রাজ্যের শাসক দলের।