নয়াদিল্লি: ভারতের নাগরিকত্বের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলে বাংলাদেশের অর্ধেক মানুষই দেশ ছেড়ে দেবে বলে মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডির। হায়দরাবাদে সন্ত রবিদাস জয়ন্তী পালন অনুষ্ঠানে রেড্ডি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) –এর বিরোধিতা করায় তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন, বলেন, উনি প্রমাণ করুন কী করে এই আইন ১৩০ কোটি ভারতবাসীর স্বার্থবিরোধী হয়! রেড্ডির বক্তব্য, ভারত বাংলাদেশিদের এ দেশের নাগরিকত্ব নেওয়ার প্রস্তাব দিলে অর্ধেক বাংলাদেশ খালি হয়ে যাবে। অর্ধেক বাংলাদেশিই ভারতে চলে আসবে। ওদের দায়িত্ব কে নেবেন, রাহুল গাঁধী না কেসিআর?’
ওই দুজনকে আক্রমণ করে রেড্ডি বলেন, ওঁরা অনুপ্রবেশকারীদের জন্য নাগরিকত্ব চান। সেইসঙ্গে বলেন, সিএএ-তে একটিও যদি ১৩০ কোটি ভারতবাসীর একজনের বিরুদ্ধেও একটি শব্দ থাকে, তবে ভারত সরকার তা খতিয়ে দেখতে তৈরি তবে পাকিস্তানি বা বাংলাদেশি মুসলিমদের জন্য নয়।


পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের কয়েকটি অত্যাচারিত সম্প্রদায়ের জন্য মানবিক কারণেই সিএএ করা হয়েছে বলে সওয়াল করে রেড্ডি অভিযোগ করেন, কিছু লোক অবশ্য ওই দেশগুলির মুসলিমদেরও এ দেশের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য আসরে নেমেছে।
টিআরএস, তাদের ‘বন্ধু দল’ এআইএমআইএমকে কটাক্ষ করে কেসিআরের দল ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতিতে মদত দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন রেড্ডি। বলেন, টিআরএস, মুখ্যমন্ত্রীকে (কেসিআর) অনুরোধ করছি। মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করছি, সিএএ-তে এদেশের ১৩০ কোটি মানুষের একজনও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, এটা প্রমাণ করে দেখান।
উদ্বাস্তু ও অনুপ্রবেশকারীদের কখনই এক সারিতে বসানো যায় না বলে দাবি করে কংগ্রেসের মতো দলগুলি বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের নাগরিকত্ব চাইছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রেড্ডির মতে, ভোটার আইডি কার্ড, আধার বা রেশন কার্ডের মতো নথিপত্র ও কোনও সুযোগসুবিধা ছাড়াই কিছু শরণার্থী গত ৪০ বছর ধরে ভারতে বসবাস করছেন।