সিতাই: কোচবিহারের সিতাইয়ে বাগান থেকে উদ্ধার বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূল রয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। পাল্টা, বিজেপির বিরুদ্ধে মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।


ভোট পরবর্তী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় কোচবিহার। এবার কোচবিহারের সিতাইয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল বিজেপি কর্মীর। বাড়ির কিছুটা দূরে বাগান থেকে উদ্ধার হল ঝুলন্ত দেহ। মৃত অনিল বর্মন হোকদাহ আদাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। রবিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বাগানের মধ্যে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। বিজেপির অভিযোগ, ভোটের ফল বেরনোর পরই তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করে তৃণমূল। 


বেশ কিছুদিন বাড়ি ছাড়াও ছিলেন তিনি। পরে বাড়ি ফেরার পরও, তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ।  যদিও মৃতের ভাই মানসিক অবসাদের কথা মানতে চাননি।মৃতের ভাই নিখিল বর্মন জানিয়েছেন,  নির্বাচনের পর বাড়ি ভাঙচুর হয়েছিল, তবে এখন কোনও সমস্যা ছিল না। কেন এটা করল, সেটা বুঝতে পারছি না। অন্যদিকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।


কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় জানান, যে কেউ মারা গেলেই বিজেপি রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা করছে। এর আগেও বিভিন্ন জায়গায় দেখেছি...আমার বিশ্বাস এর সঙ্গে কোনও রাজনীতির বিষয় নেই। পুরোটাই বিজেপি নাটক করেছে।


অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ভোটের ফল ঘোষণার পর বারবার উত্তপ্ত হয় কোচবিহার। তৃণমূল ও বিজেপি দু’দলই পরস্পরের বিরুদ্ধে দলীয় কর্মী খুনের অভিযোগ তোলে। বিজেপির দাবি, ভোটের ফল বেরনোর পর এখনও তাঁদের ৩ জন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের এক কর্মীর।


এরপরই কোচবিহার সফরে যান রাজ্যপাল। ঘুরে দেখেন, অশান্ত এলাকাগুলি। যা নিয়ে, রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত প্রকাশ্যে চলে আসে। এবার সেই কোচবিহারের সিতাইয়ে বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল।