নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাসের বিশ্বজোড়া দাপাদাপির মধ্যে ফের হানা দিল আরেক ভাইরাস। উৎসস্থল চিনের ইউনান প্রদেশ। এক ব্যক্তি ইতিমধ্যেই এতে মারা গিয়েছেন, তিনি বাসে করে পূর্ব চিনের শ্যানডং প্রদেশে যাচ্ছিলেন, পথে আক্রান্ত হন। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তাঁর ৩২ জন সহযাত্রী।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এই হান্টাভাইরাস পালমোনারি সিনড্রোম বা এইচপিএস ইঁদুর বা খরগোশের মত ছোট জীবজন্তু থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে, এর ফলে প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। অন্যান্য লক্ষণ হল, মাথাধরা, ঝিমুনি, জ্বর, পেশিতে ব্যথা, বমিভাব ও পেটের গোলমাল। এগুলি প্রাথমিক লক্ষণ, এরপর শুরু হবে প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট, কমে যাবে রক্তচাপ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও বলেছে, মূলত এই সংক্রমণ শ্বাসপ্রশ্বাসে দিয়ে শরীরে ঢোকে, তা কোনও স্প্রের মাধ্যমেও হতে পারে অথবা সংক্রমিত খরগোশ বা ইঁদুরের মলের গন্ধ নাকে গেলে অথবা তাদের লালা শরীরে ঢুকলে। ২০১৮-য় আর্জেন্তিনাতেও এই রোগ একবার দেখা গিয়েছিল।

গ্রামের মানুষের মূলত এই রোগ হয়, কারণ হান্টাভাইরাসে আক্রান্ত জীবজন্তু গ্রামের দিকে থাকে, মানুষ তাদের সংস্পর্শে বেশি আসে। বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট। শুধু আর্জেন্তিনায় ২০১৩-২০১৮-র মধ্যে হান্টাভাইরাস ১১৪ জনের প্রাণ নিয়েছিল। মৃত্যুর হার ১৮.৬ শতাংশ। কিছু প্রদেশে অবশ্য এই গড় ৪০ শতাংশের কাছাকাছি ছিল।

আমেরিকায় এই রোগের নাম নিউ ওয়ার্ল্ড হান্টাভাইরাস, ইউরোপ আর এশিয়ার বেশিরভাগ জায়গায় ওল্ড ওয়ার্ল্ড হান্টাভাইরাস। ভারতেও পৌঁছেছে হান্টার পদধ্বনি, ২০১৬ সালে ১২ বছরের একজনের এই অসুখে মৃত্যু হয়। বৃহন্মুম্বই পুরনিগম জানায়, ইঁদুর বা খরগোশের মলমূত্র বা লালা থেকে ছড়ানো ভাইরাসের জেরে ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে।