তেহরান: জেনারেল কাসিম সোলেমানি হত্যার পর আমেরিকাকে ‘চরম বদলা’র হুঁশিয়ারি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের। সোলেমানির মৃত্যুতে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ডাক দিয়েছেন তিনি। তাঁকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা বলেছে, যে ক্রিমিনালরা জেনারেল সোলেমানিকে মেরেছে, তাদের এই কাজের খেসারত দিতে হবে। তাদের জন্য চরম বদলা অপেক্ষা করছে। ‘সোলেমানি হত্যায় আমেরিকা, ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের মেজাজ বেড়ে দ্বিগুণ হবে’ বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, সোলেমানির বিদায় চরম আঘাত বটে, কিন্তু সাফল্য প্রাপ্তি পর্যন্ত সংগ্রাম জারি থাকবে, ‘অপরাধীদের’ জীবন আরও বিষময় হয়ে উঠবে।
ইরানের ওই প্রবল শক্তিধর জেনারেলকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই মেরে ফেলা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর পেন্টাগন। তাদের দাবি, ইরাকে এ সপ্তাহেই মার্কিন দূতাবাসে হামলা সহ মার্কিন ঘাঁটিগুলির ওপর একাধিক আক্রমণের স্থপতি সোলেমানি।
এদিকে কিছু রিপোর্টের দাবি, সোলেমানি হত্যার অভিযানের আগে কংগ্রেসকে কিছু জানাননি ট্রাম্প। কোনওরকম কৌশল তৈরি না করেই অভিযানে নেমে পরিস্থিতি ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পকে আক্রমণ করেছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ঘনিষ্ঠ জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা বেন রোডস। যদিও ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসাও করছেন অনেকে। যেমন, সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম উচ্ছ্বাসের বশে বলেছেন, বাহ, আমেরিকানদের মেরে ফেলা, জখম করার চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। যে ইরানি জমানার হাতে আমেরিকান রক্ত লেগেছে, তাদের ওপর এটা বিরাট আঘাত। সোলেমানি আয়াতোল্লা জমানার সবচেয়ে নির্মম, কুচক্রী সদস্যদের অন্যতম। ওর হাতে মার্কিন রক্ত লেগেছিল। ইরানি আগ্রাসনের জবাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাহসী পদক্ষেপের প্রশংসা করব। ইরান সরকারকে বলব, এরপরও কিছু যদি চাও, পাবে!