চণ্ডীগড়: দেশের ধনীতম মহিলা হিসেবে গন্য হন। নির্বাচনে নাম লিখিয়েছিলেন নির্দল হিসেবে। আর তাতেই বাজিমাত করলেন ৭৪ বছর বয়সি সাবিত্রী জিন্দল। হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে আবারও জয়ী হলেন তিনি। আগেও রাজ্যের বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি, রাজ্যের মন্ত্রী হিসেবেও কাজ করেছেন। এবার নির্দল হিসেবে জয়ী হলেন। (Savitri Jindal)


হরিয়ানার হিসারে এবার নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে নামেন সাবিত্রী। সেখানে তাঁর প্রতিপক্ষ ছিলেন বিজেপি-র কমল গুপ্ত এবং কংগ্রেসের রামনিবাস রারা। তাঁদের পরাজিত করে ১৮ হাজার ৯৪১ ভোটে জয়ী হয়েছেন সাবিত্রী। এই জয়ের জন্য হিসারের সাধারণ মানুষকই ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। (Haryana Assembly Elections 2024)


নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাবিত্রী লেখেন, 'হিসার পরিবারের কাছে কৃতজ্ঞ'। সংবাদমাধ্যমে বলেন, "হিসারের মানুষজন আমার পরিবারের অংশ। আমি এবারও নির্বাচনে নাম লেখাই, তা ওঁরাই চেয়েছিলেন।" জিন্দল পরিবারের সদস্য সাবিত্রী। এই নিয়ে তৃতীয় বার হিসার থেকে জয়ী হলেন। এর আগে, কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে ২০০৫ এবং ২০০৯ সালে সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতী করে জয়ী হন।



ভূপিন্দর সিংহ হুডার সরকারে মন্ত্রীও ছিলেন সাবিত্রী। প্রায় দু'দশক কংগ্রেসে থাকার পর, এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে, লোকসভা নির্বাচনের আগে ছেলে নবীন জিন্দলের দেখাদেখি বিজেপি-তে যোগ দেন তিনি। যদিও হিসার থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবেই মনোনয়নপত্র জমা দেন। সাবিত্রীর ছেলে নবীন যদিও বিজেপি-র লোকসভার সাংসদ। এবার ঘোড়ায় চেপে ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সাবিত্রী নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে জয়ী হলেও, বিজেপি-র 'বি' টিম হিসেবে তাঁকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা।


২০১৫ সালে স্বামী এপি জিন্দলের মৃত্যুর পর ব্যবসা এবং রাজনীতিতে পদার্পণ করেন সাবিত্রী। জিন্দল গ্রুপের প্রধান হিসেবে পদে অধিষ্ঠিত তিনি। ইস্পাত, বিদ্যুৎ, খনি, পরিকাঠামো, সবই চলে তাঁর নেতৃত্বে। দেশের তৃতীয় নাগরিক সম্মান 'পদ্মভূষণ' পেয়েছেন সাবিত্রী। আন্তর্জাতিক ফোর্বস ম্যাগাজিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতের ধনীতম মহিলা তিনি। মোট সম্পদের পরিমাণ ৩.৬৫ লক্ষ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে দেশের পঞ্চমতম ধনী। নির্বাচনী হলফনামায় সাবিত্রী ২৭০ কোটির ব্যক্তিগত সম্পত্তি দেখান, যার মধ্যে স্থাবর সম্পত্তি ছিল ৮০ কোটি টাকার। 


বুথফেরত সমীক্ষায় এবার হরিয়ানায় কংগ্রেসের জয়ী হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছিল। কিন্তু এদিন ফলাফল বেরনোর পর দেখা যায়, বিজেপি সরকার গড়তে চলেছে। যদিও এই ফলাফল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। EVM বিকৃতি থেকে ভোটগণনা প্রক্রিয়ায় ত্রুটির অভিযোগ করেছে তারা। সেই মর্মে চিঠি দিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও জানিয়েছে।