নয়াদিল্লি : অশান্ত হরিয়ানা। ভয়াবহ পরিস্থিতি। সূত্রের খবর, হরিয়ানা নুহ্ (Nuh) জেলায় একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রায় পাথর ছোড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছড়ায় গোষ্ঠীহিংসা। ধর্মীয় মিছিলটিকে আটকানোর চেষ্টার অভিযোগ ঘিরে আগুন জ্বলল হরিয়ানায় । আর তার জেরেই বেঁধে যায় দুই গোষ্ঠীর তীব্র সংঘর্ষ।
প্রাণ বাঁচাতে মন্দিরে
‘ব্রিজ মণ্ডল জলাভিষেক যাত্রা’ চলছিল খেডলা মোড এলাকায় । পুলিশ সূত্রের খবর, সেই সময় ওই শোভাযাত্রায় ইট-পাথর ছোড়া শুরু হয়। আর তা ঘিরে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। এরপর শুরু হয় অরাজকতা । ভয়ঙ্কর চেহারা নেয় সংঘর্ষ। এরপরই প্রাণ বাঁচাতে বহু মানুষ গুরুগ্রামের মন্দিরে আশ্রয় নেন। সেই সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে দুই হোম গার্ডের।মৃত হোমগার্ডদের নাম - নীরজ এবং গুরুসেবক। আহত একাধিক পুলিশ কর্মী।
একের পর এক গাড়িতে আগুন, এলাকায় পাথর বৃষ্টি, কার্যত রণক্ষেত্র হরিয়ানা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় কিছু বাড়িঘর, দোকান, যানবাহন। হামলার মুখে পড়ে ধর্মস্থানও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। হামলাকারীদের রুখতে প্রথমে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছোড়া হয় পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেলও । শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, এই ঘটনায় জখম হয়েছেন ২০০রও বেশি মানুষ।
অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুরুগ্রামে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা । প্ররোচনা ঠেকাতে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। ডেপুটি কমিশনার নিশান্ত কুমার যাদব এ কথা জানান। এছাড়াও পুলিশের কড়া নির্দেশ,কোথাও ৫ জনের বেশি জমায়েত করলেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অস্ত্র সহ জমায়েত যাতে না হয়, তা নিয়েও কড়া নজর রাখা হয়েছে পুলিশের। রাস্তা অবরোধ যাতে না হয়, তা নিয়ে কড়া পুলিশ।
হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর টুইটারে সকলকে রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানান। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন :
দাম কমল রান্নার গ্যাসের, কলকাতায় কত হল এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial