কলকাতা: কয়লাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের কি কোনও প্রভাব পড়েছে? ইসিএল-কে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছিল সিবিআই। সেই চিঠির ভিত্তিতে রিপোর্ট পাঠাল ইসিএল।


ওই রিপোর্টে ইসিএল জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হওয়ার পর অনেকটাই বেড়েছে কয়লা সরবরাহ।  ৪৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৩ শতাংশ হয়েছে কয়লা সরবরাহ। বেড়েছে কয়লা পাঠানোর পরিমাণও। ইসিএল জানিয়েছে, ৬৩ শতাংশ থেকে বেড়ে তা হয়েছে ৯০ শতাংশ। একইসঙ্গে ওই রিপোর্টে ইসিএল জানিয়েছে, কয়লা বুকিং বেড়েছে ৪৭৮ কোটি টাকার।


সিবিআই সূত্রে খবর, দিনকয়েক আগে এই চিঠি পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে তারা জানতে চান, আসানসোল, রানীগঞ্জ, জামুড়িয়া সহ যেসব অঞ্চল থেকে কয়লা সরবরাহ হয় সেখানে কী অবস্থা? সিবিআই আধিকারিকরা দাবি করেন, এই তদন্ত শুরু হওয়ার পর কয়লা মাফিয়ারা তাঁদের কার্যকলাপ বন্ধ করে দেন। বেশিরভাগ কয়লা মাফিয়া সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছেন। অবৈধভাবে কয়লা পাচার হচ্ছিল তাও বন্ধ হয়েছে বলে দাবি করে সিবিআই। ইতিমধ্যে সিবিআই প্রশ্ন পেয়ে রিপোর্ট পাঠিয়েছে ইসিএল। ওই রিপোর্ট পেয়ে সিবিআইয়ের দাবি, ইসিএলের ৪৭৮ কোটি টাকার কয়লা সরবরাহ বেড়েছে। শুধু তাই নয়, সিবিআই সূত্রে খবর, পাচারকারীরা গা ঢাকা দেওয়ার পর ইসিএলের কয়লা সরবরাহের টাকার যে পরিমাণ ৭৭৫ কোটি থেকে ১২৫৩ কোটি হয়েছে। আসানসোলের স্পেশাল সিবিআই কোর্টে পাঠানো হবে এই রিপোর্ট। 


উল্লেখ্য, চলতি বছর কয়লা উত্তোলন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ শুরু করে সিবিআই। এই জন্য ৩০ জন সিবিআই অফিসারকে নিয়ে গঠন করা হয় 'স্পেশাল ৩০' টিম। রানিগঞ্জ, জামুরিয়া, আসানসোলের বিভিন্ন খাদানে কীভাবে কয়লা তোলা হয় তা সরজমিনে ক্ষতি দেখতে পৌঁছন সিবিআই-এর ডিআইজি র‍্যাঙ্কের অফিসার অখিলেশ সিংহ। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন ইসিএল-এর আধিকারিকরা। অবৈধভাবে কত কয়লা পাচার করা হয়েছে, সেই হদিশ পেতেই তদন্ত শুরু করে সিবিআই। তদন্তে নেমে সিবিআই জানায় এ রাজ্যের বিভিন্ন খনি থেকে বেআইনিভাবে কয়লা তুলে উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে পাচার করা হত।