হাথরস ধর্ষণে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে দ্রুত বিচারের দাবি নির্ভয়ার মায়ের
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 30 Sep 2020 02:35 PM (IST)
১৪ সেপ্টেম্বর মা, ভাইয়ের সঙ্গে হাথরসের ক্ষেতে কাজ করতে গিয়েছিল ২০ বছরের দলিত তরুণী। তাকে গলায় ওড়না বেঁধে বাজরার ক্ষেতে টেনে নিয়ে যায় চার যুবক। সকলেই উচ্চবিত্ত। সেখানে গণধর্ষণ করে।
নয়াদিল্লি: ঘটনার সাত বছর পর তাঁর মেয়ের উপর অত্যাচারকারীরা সাজা পেয়েছিল। ২০১২-র ১৬ ডিসেম্বর গণধর্ষণের শিকার সেই নির্ভয়ার মা মুখ খুললেন উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ধর্ষিত, অত্যাচারিত, মৃত দলিত তরুণীর ব্যাপারে। দাবি তুললেন এমন জঘন্য, নৃশংস ঘটনার বিচার হোক ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে। দোষীদের দ্রুত শাস্তি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হোক। নির্ভয়ার মা আশাদেবী বলেন, আমি শুনেছি আমার দেশের আরও একটি নির্দোষ মেয়েকে ধর্ষণ, অত্যাচার করা হয়েছে। তার প্রাণ গিয়েছে। এটা অত্যন্ত লজ্জার যে আমাদের দেশের মেয়েরা এমন ব্যবহার পেয়েই চলেছেন। একটার পর একটা ঘটনা ঘটেই চলেছে। আর একটা সময়ের পর আমাদের মন অন্যদিকে চলে যাচ্ছে। এটা হতে পারে না। আশাদেবী বলেন, আবার সেই ২০১২ সালে ফিরে গেলাম মনে হচ্ছে। হাথরসের মেয়েটির পরিবারের পাশে আমি আছি। যারা মারা গিয়েছে, তাদের আমরা হয়তো ফিরে পাব না, কিন্তু ওই হতভাগ্য বাবা-মায়েদের পাশে তো আমরা দাঁড়াতেই পারি সুবিচারের দাবি জানিয়ে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এবং সরকারের কাছে আমার আবেদন, এই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করা হোক ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে। দোষীরা শীঘ্র শাস্তি পাক। প্রসঙ্গত, ১৪ সেপ্টেম্বর মা, ভাইয়ের সঙ্গে হাথরসের ক্ষেতে কাজ করতে গিয়েছিল ২০ বছরের দলিত তরুণী। তাকে গলায় ওড়না বেঁধে বাজরার ক্ষেতে টেনে নিয়ে যায় চার যুবক। সকলেই উচ্চবিত্ত। সেখানে গণধর্ষণ করে। মেরে হাড় গুঁড়িয়ে দেয়। জিভ কেটে নেয়। পঙ্গু হয়ে আইসিইউ–তে শুয়ে ১৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে মঙ্গলবার দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মারা যায় সে।