হাথরাস : বেড়েই চলেছে মৃত্যুর সংখ্যা।  হাথরসে (Hathras stampede) ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ১২১ জনের।  'সৎসঙ্গ' নামে এমন এক জমায়েতে কীভাবে এত মানুষের সমাগম হল, আদৌ ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাড়তি কোনও ব্যবস্থা ছিল কি, এত জমের জমায়েতের অনুমতি ছিল কি, হাথরসে মৃত্যুমিছিল ( Hathras Case ), উঠছে একের পর এক প্রশ্ন। উঠে আসছে নানা অনিয়মের ছবি। 


কোথায় 'ভোলেবাবা' ?


উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ইতিমধ্যেই যথাযথ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন, কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, যে ধর্মগুরুর অনুষ্ঠানে এতবড় দুর্ঘটনা, এফআইআরে তাঁর নামই নেই। সূরজ পাল বা ভোলেবাবা কোথায়, জানা যাচ্ছে না কিছুই। যে ভোলে বাবাকে ছোঁয়া ও তাঁর পায়ের ধুলো নেওয়ার হুড়োহুড়িতেই পদপিষ্ট হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু, সেই ধর্মগুরুর নাম নেই FIR এ। মূল অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে মুখ্য সেবায়েতের নাম।দুর্ঘটনার আগেই নাকি অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে চলে যান তিনি। দাবি সরকারি সূত্রের। এফআইআর-এ আশ্চর্যজনকভাবেই তাঁর নাম রাখা হয়নি। বরং মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে দেবপ্রকাশ মধুকরের। তিনি ওই সংস্থার মুখ্য সেবায়েত। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস), 2023-এর 105, 110, 126 (2), 223 এবং 238 ধারার অধীনে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে৷ এখনও পর্যন্ত এই মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি৷ ধর্মগুরু সূরজপাল ওরফে ভোলেবাবার শাগরেদদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলেও ঘটনার পর থেকে খোঁজ নেই ধর্মগুরু সূরজপাল ওরফে ভোলেবাবার। মইনপুরীতে সূরজপালের মোবাইল ফোনের লোকশন মিলেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। 






আরও বড় প্রশ্ন, হাথরসের সৎসঙ্গে ৮০ হাজারের অনুমতি নিয়ে আড়াই লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড় কী ভাবে হল? কীভাবে এত মানুষের জমায়েতের অনুমতি দিল ভোলাবাবার সংস্থা ? জেলা প্রশাসনের গাফিলতির অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই নাকি পুণ্যার্থীদের সংখ্যা গোপন করার চেষ্টা করছে আয়োজকরা।  পাশাপাশি তথ্য লোপাটের চেষ্টার অভিযোগও উঠেছে।  


ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ সুনীল কুমার বলেছেন, "আমরা ক্যাম্পাসের ভিতরে বাবা জিকে খুঁজে পাইনি...তিনি এখানে নেই..."। এদিকে, বুধবার সকালে একটি ডগ স্কোয়াড সহ একটি ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। 


আরও পড়ুন :                                    


'গোয়েন্দা' থেকে স্বঘোষিত ধর্মগুরু, তাঁর সাক্ষাতে গিয়েই হাথরসে পদপিষ্ট শতাধিক, কে এই 'ভোলেবাবা'?