নয়া দিল্লি : ফের মর্মান্তিক ঘটনার কারণে সংবাদ শিরোনামে উত্তরপ্রদেশের হাথরস। 'ভোলে বাবা' নামে এক ধর্মীয় গুরুর সৎসঙ্গে অংশগ্রহণকারী শতাধিক ভক্তের পদপিষ্ট হয়ে মৃত্য়ু হল। মুহূর্তের মধ্য়ে শেষ হয়ে গেলেন নিরাপরাধ মহিলা থেকে শিশু। মৃতের সংখ্যা ১০ ছাড়িয়ে গেল। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসাই কাল হল।
মঙ্গলবার মুঘলগড়ির ফুলরাই গ্রামে, ভোলে বাবা নামে একজন ধর্মগুরু সৎসঙ্গের আয়োজন করেছিলেন। সেখানে প্রায় ৮০ হাজার ভক্ত ভিড় জমান। ভোলে বাবা নিরাপদে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হলেও, তাঁর ভক্তদের মধ্যে বহু মানুষই আর প্রাণ নিয়ে বেরতে পারলেন না। পদপিষ্ট হওয়ার কারণ নিয়ে উঠে আসছে বিভিন্ন তথ্য। উত্তরপ্রদেশ সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে। জানালেন যোগী আদিত্যনাথ।
যোগী জানান, রাজ্য সরকার এই ঘটনার কারণ তদন্ত করছে । এর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র আছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে। এই ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক এবং নিন্দনীয়ও। সময়টা ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়ানোর, মনের ক্ষতে মলম লাগানোর। যোগী বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। এসময় এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয় বলে বিরোধীদের সমালোচনা করেন তিনি।
যোগী বলেন, 'সরকার এই ঘটনার গভীরে গিয়ে ষড়যন্ত্রকারী ও দায়ীদের উপযুক্ত শাস্তি দেবে। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার গোটা ঘটনার তদন্ত করছে। আমরা এর গভীরে গিয়ে দেখব এটা দুর্ঘটনা নাকি ষড়যন্ত্র। সরকার এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই সংবেদনশীল । কোনও অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না।'
দুপুর তিনটে থেকে সাড়ে তিনটের পুরো ঘটনাটি ঘটে। ধর্মগুরু ভোলে বাবার সৎসঙ্গেহাজার হাজার ভক্ত যোগ দিতে আসেন । মঞ্চের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর যখন সৎসঙ্গ প্রচারক মঞ্চ থেকে নামছিলেন, ঠিক সেই সময়ই ভক্তদের ভিড় তাঁর দিকে এগোতে শুরু করে। এভাবে হুড়োহুড়ি করে'বাবাকে' ছুঁতে গিয়েই নিজেদের জীবন শেষ করে দিলেন ভক্তরা। সেবায়েতরা ভিড় সামলাতে গেলে বহু মানুষ পদদলিত হন।
উত্তরপ্রদেশের দুর্ঘটনা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ' মৃতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য আমার হৃদয় কাঁদছে। শোকাহত পরিজনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই।'
আরও পড়ুন :
'গোয়েন্দা' থেকে স্বঘোষিত ধর্মগুরু, তাঁর সাক্ষাতে গিয়েই হাথরসে পদপিষ্ট শতাধিক, কে এই 'ভোলেবাবা'?