হাথরস: পদপিষ্ট হয়ে ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই থেকে খোঁজ চলছিল তাঁর। যে 'ভোলে বাবা'র 'সৎসঙ্গ'-এ এত মানুষ মারা গেলেন, তিনি কোথায়, মিলছিল না খোঁজ। এবার মুখ খুললেন 'ভোলে বাবা' ওরফে স্বঘোষিত ধর্মগুরু নারায়ণ সাকর হরি। তাঁর দাবি, তিনি 'সৎসঙ্গ' থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরই যা ঘটার ঘটেছে। 'সৎসঙ্গ'-এ সমাজবিরোধীরা ঢুকে পড়াতেই এই কাণ্ড ঘটেছে বলেও দাবি করলেন তিনি। (Hathras Stampede)


হাথরসের ঘটনায় যখন মৃতদের পরিবারে হাহাকার নেমে এসেছে। সেই আবহে ঘটনার ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পর প্রতিক্রিয়া জানালেন নারায়ণ। লিখিত বিবৃতিতে তাঁর দাবি, '২ জুলাই অনেক আগেই সৎসঙ্গ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলাম আমি। তার পর পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কিছু সমাজবিরোধী ঢুকে পড়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে'। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ করতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এপি সিংহের দ্বারস্থ হয়েছেন নারায়ণ। (Hathras Satsang Stampede)


নারায়ণ জানিয়েছেন, মৃতদের পরিবার-পরিজনদের সমবেদনা জানাচ্ছেন তিনি। আহতরা যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন, পরমাত্মার কাছে প্রার্থনা করছেন। অর্থাৎ অনুমতির চেয়ে বেশি সংখ্যক লোক জড়ো করার কোনও দায়ই নেননি নারায়ণ। কিছু সমাজ বিরোধী এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে তত্ত্ব খাড়া করেছেন। তাঁর এই বিবৃতি নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে।  


আরও পড়ুন: Hathras Stampede: হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুমিছিল, ৮০ হাজারের অনুমতি নিয়ে আড়াই লক্ষ জমায়েতের অভিযোগ


এখনও পর্যন্ত হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় একটি এফআইআর-এও নারায়ণের নাম ওঠেনি। তাঁর সহযোগী এবং 'সৎসঙ্গ' আয়োজকদের নাম যদিও রয়েছে এফআইআর-এ রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত হত্যা এবং অন্যায় কাজকর্মের ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিলেও,  নারায়ণকে গ্রেফতার করা হবে কি না, জানতে চাইলে প্রশ্ন এড়িয়ে যান উত্তরপ্রদেশের পুলিশ প্রধান প্রশান্ত কুমার নারায়ণ। যে প্রমাণ হাতে আসবে, তার নিরিখেই পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান তিনি।


মঙ্গলবার ওই 'সৎসঙ্গ'-এ সবমিলিয়ে ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা। মৃতের তালিকায় রয়েছে শিশুরাও। জানা গিয়েছে, ভিড়ের মধ্যে হুড়োহুড়ি করে নারায়ণের পায়ের ধুলো নিতে যান পুণ্যার্থীরা। তাতেই বিপত্তি ঘটে। দমবন্ধ হয়ে অনেকে মারা যান। স্তূপাকৃত দেহগুলি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, নারায়ণের নিরাপত্তারক্ষীরা পুণ্যার্থীদের ধাক্কা দেন, তাতেই হুড়োহুড়ি শুরু হয়। সেই নিয়ে জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে তদন্ত শুরু হয়েছে।