মইনপুরী :হাথরাসে ( Hathras stampede )পদদলিত হয়ে বহু মৃত্যুর ঘটনার পর থেকেই তিনি ছিলে বেপাত্তা। যাঁর পায়ের ধুলো সংগ্রহ করতেই উন্মত্ত হয়ে ছুট দিয়েছিল জনতা, সেই ভোলেবাবা ( Bhole Baba ) ওরফে সূরজপালের টিকিটিও পাওয়া যায়নি ঘটনার পর। অন্তরালে থেকেই বার্তা দিয়েছিলেন । তাঁর সৎসঙ্গে শতাধিক প্রাণ চলে যাওয়ার পরও এফআইআরে নাম নেই সূরজপালের। এই পরিস্থিতিতে ঘটনার ৪ দিন পর সামনে এলেন তিনি।
হাথরাসের ঘটনার পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এল সুরজপাল ওরফে ভোলে বাবার বক্তব্য। একটি ভিডিও বিবৃতিতে, হাথরাসেপ মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে তিনি শোকপ্রকাশ করলেন। নিজের উপর দায় তো নিলেনই না, বললেন, '২ জুলাইয়ের ঘটনার পর আমরা খুব ব্যথিত... ঈশ্বর আমাদের এই দুঃখজনক সময় থেকে বেরিয়ে আসার শক্তি দিন। সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আস্থা বজায় রাখুন। যাঁরা দুর্বৃত্ত তাঁদের রেহাই দেওয়া হবে না বলে আমরা নিশ্চিত। আমি আমার আইনজীবী এমপি সিংয়ের সঙ্গে পরামর্শ করেছি। সিং কমিটির সদস্যদের শোকসন্তপ্ত পরিবার এবং আহতদের পাশে দাঁড়ানোর এবং তাঁদের সারাজীবন সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করেছেন...'
হাথরাস দুর্ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত দেব প্রকাশ মধুকরকে শুক্রবার গভীর রাতে ইউপি এসটিএফ গ্রেফতার করে। দুর্ঘটনার পর থেকে মধুকর পলাতক ছিল। পুলিশ মধুকরকে ধরে দিতে পারলে এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল । উত্তরপ্রদেশ সরকার এই ঘটনার তদন্ত করার জন্য একটি সিট গঠন করেছে। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যে ৯০ জনের বক্তব্য রেকর্ড করেছেন। শুক্রবার সিট এর তরফে অনুপম কুলশ্রেষ্ঠ এ কথা জানান।
হাথরাসে 'পিটিআই'- কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এডিজি কুলশ্রেষ্ঠ বলেন, 'এখন পর্যন্ত ৯০ টি বিবৃতি রেকর্ড করা হয়েছে। একটি প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে, আর একটি বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, আরও তথ্যপ্রমাণ সামনে আসছে। তদন্তের পরিধি বাড়ানো হয়েছে।এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য, প্রমাণ ও বয়ানের ভিত্তিতে এটা স্পষ্ট যে, ত্রুটি আয়োজকদের তরফেই ছিল। এখন এই শতাধিক প্রাণ চলে যাওয়ার পর মূল দোষীরা ধরা কবে পড়ে, সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন :