নয়াদিল্লি: পরীক্ষামূলকভাবে মানব শরীরে প্রথম করোনাভাইরাসের টিকা দিল আমেরিকা। সিয়াটলে এই পরীক্ষা চলেছে বলে মার্কিন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ৪৫ জন পূর্ণবয়স্ক স্বেচ্ছাসেবককে এ কাজে যুক্ত করা হয়েছে, এঁদের বয়স ১৮ থেকে ৫৫-র মধ্যে। দেড়মাস ধরে চলবে গোটা প্রক্রিয়া।

আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অফ হেলথ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, আজ প্রথম ব্যক্তির শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে এই টিকা দেওয়া হয়েছে। যাঁকে এই টিকা প্রথম দেওয়া হল, তাঁর নাম জেনিফার হেলার, বয়স ৪৩। সিয়াটলের এই বাসিন্দা একটি প্রযুক্তি সংক্রান্ত সংস্থার অপারেশনস ম্যানেজার, ২ সন্তানের মা এই মহিলা নিজের শরীরে স্বেচ্ছায় এই পরীক্ষা করার সুযোগ দিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, মানব শরীরে করোনার টিকা পরীক্ষা শুরু হয়েছে জেনে তিনি খুশি। এত দ্রুত এই টিকা তৈরির উদাহরণ ইতিহাসে তেমন নেই। প্রাথমিকভাবে ভাল ফল মিলেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

টিকার নাম এমআরএনএ-১২৭৩। গবেষকদের নেতৃত্বে রয়েছেন ডক্টর লিসা জ্যাকসন। তিনি বলেছেন, আমরা এখন টিম করোনাভাইরাস। এই জরুরি অবস্থায় সকলেই চাইছে, নিজের পক্ষে যতটা সম্ভব তাই করতে। করোনার কথা কয়েক মাস আগেও কেউ জানত না। আর রোগ ছড়ানোর ২ মাসের মধ্যে তার টিকা বার করে ফেলা নজিরবিহীন। যদিও সাধারণ মানুষকে এই টিকা দেওয়া সম্ভব হবে কিনা তা এখন বোঝা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

জানা গিয়েছে, করোনার টিকা নিয়ে যত গবেষণা চলছে তার বেশিরভাগই টার্গেট করেছে স্পাইক নামে একটি প্রোটিনকে। পেরেকের মত করোনার জীবাণুর মাথায় উঁচিয়ে থাকে সে, প্রবেশ করে মানবকোষে। তবে ১২ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে এই টিকা সব জায়গায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয় বলেও গবেষকরা জানিয়েছেন।