নয়াদিল্লি: সরকারি, বেসরকারি কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি করোনাভাইরাস দ্রুত সংক্রমণের সম্ভাবনা এড়াতে সিনিয়র সিটিজেন, ১০ বছরের কম বাচ্চাদের বাড়ির বাইরে বেরতে না দেওয়ার কথাও বলল কেন্দ্র। যাঁরা জরুরি ও অত্যবশ্য়কীয় পরিষেবায় যুক্ত, বাড়ি থেকে বেরিয়ে কর্মস্থলে যেতে একপ্রকার বাধ্য, তাদের বাদ দিয়ে বাকি সবাইকে বাড়িতে বসে কাজ করার নিয়ম মানতে বলার জন্য রাজ্য় সরকারগুলিকে অনুরোধ করেছে দিল্লির সরকার। এবার সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হল, জনপ্রতিনিধি বা সরকারি অফিসার বা চিকিত্সা কর্মী বাদে ৬৫-র উপর বয়স, এমন সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিতে হবে রাজ্য় প্রশাসনকে। ১০ বছরের কম বয়সের বাচ্চাদেরও বাড়ি থেকে বের না করাই শ্রেয়।
এর পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত কোনও সম্প্রদায়গত অর্থাত্ কমিউনিটি সংক্রমণ হয়নি করোনাভাইরাসের, এও বলেছে কেন্দ্র। জানিয়েছে যে, আজ এই মারণ ভাইরাসে পঞ্জাবে যে চতুর্থ ব্য়ক্তির মৃত্যু হয়েছে, তিনি ডায়াবেটিস, কার্ডিয়াক সমস্যা, হাইপারটেনশনে আগে থেকেই ভুগছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় থাকা বয়স্ক লোকজন যাতে বিনা প্রয়োজনে সফরে না বের হন, সেজন্য ২০ মার্চ থেকে পরবর্তী নির্দেশ জারি হওয়া পর্যন্ত তাঁরা সব ধরনের টিকিটের ভাড়ায় কোনও ছাড় পাবেন না। যদিও অসুস্থ লোকজন, সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত তালিকাভুক্ত দিব্য়াংরা এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকছেন।
আজ পঞ্জাবের যে ৭২ বছরের লোকটি মারা গেলেন, তিনি ইতালি হয়ে জার্মানি থেকে এক পক্ষকাল আগে দেশে ফেরেন। পঞ্জাবের নওয়ানশহর জেলার বাঙ্গা কমিউনিটি হাসপাতালে বুকে তীব্র ব্যাথা নিয়ে ভর্তি হন। নোভেল করোনাভাইরাস পরীক্ষায় তাঁর নমুনা পজিটিভ ধরা পড়ে বলে দাবি। ৭ মার্চ তিনি দেশে ফেরেন।
ঘটনাচক্রে করোনাভাইরাসের বলি আগের তিনজনেরও বয়স ছিল ৬০-এর ওপর। তাঁরাও সবাই বিদেশ থেকে ফেরার পরই অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এভাবে বয়স্ক লোকজনের সংক্রমণের প্রেক্ষিতেই সিনিয়র সিটিজেনদের সাবধানতা বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।