নয়াদিল্লি: হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহার নিয়ে এবার সুর বদল কেন্দ্রের। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সুপারিশ, করোনা-রোগীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলে তবেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু, অবস্থা গুরুতর বা সঙ্কটজনক হলে তখন এইচসিকিউ-এর মতো অ্যান্টি-ম্যালেরিয়া ওষুধের পরিবর্তে রেমডেসিভির-এর মতো অ্য়ান্টি-ভাইরাল ব্যবহার করাই হবে যুক্তিযোগ্য।


পাশাপাশি, সংক্রমণের অ্যাডভান্সড স্টেজে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী ওষুধ টোকিলিজুমাব এবং প্লাজমা থেরাপির ব্য়বহারেও সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কেন্দ্র। সম্প্রতি, কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকল প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সেখানে বলা হয়েছে, যে সকল রোগীকে আইসিইউ-তে রাখা প্রয়োজন, তাঁদেরকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও অ্যাজিথ্রোমাইসিন ওষুধ প্রয়োগ এড়িয়ে চলাই ভাল।


মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও, সার্স-সিওভি-২ ভাইরাসের বিরুদ্ধে বহুক্ষেত্রে ভাল কাজ দিয়েছে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন।


অন্যদিকে, রেমডেসিভির সম্পর্কে বলা হয়েছে, অক্সিজেন সাপোর্ট লাগছে, এমন রোগীদের ক্ষেত্রে এই অ্যান্টি-ভাইরাল প্রয়োগ করা যেতে পারে। তবে, বিশেষ কিছু শারীরিক সমস্যা যেমন-- রেনাল ইম্পেয়ারমেন্ট, উচ্চ লিভার ইনজাইম, অন্তঃসত্ত্বা বা সদ্য মা হওয়া মহিলা এবং শিশুদের ওপর এই ওষুধ প্রয়োগ করা বাঞ্ছনীয় নয়।


এমনকী, রেমডেসিভির কীভাবে ও কতটা প্রয়োগ করতে হবে, তাও বলা হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে। কেন্দ্রের সুপারিশ, প্রথমদিন ২০০ মিলি ও পরের পাঁচদিন ১০০ মিলি করে ওষুধ ইঞ্জেকসনের মাধ্যমে রোগীর শরীরে প্রয়োগ করতে হবে।


পাশাপাশি বলা হয়েছে, স্টেরয়েড প্রয়োগ সত্ত্বেও রোগীর অবস্থার উন্নতি না হলে, প্লাজমা থেরাপি করা যেতে পারে।