পুরী: প্রবল বৃষ্টিতে রীতিমতো জলমগ্ন ওড়িশার পুরী। সেখানকার বেশ কয়েকটি স্থানে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে পুরী, জগৎসিংহপুর, কেন্দ্রপাড়া, নয়াগড়, খোরদা, ধেনকানাল জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। 


এই মুহূর্তে ওড়িশায় গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগের মতে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দুর্বল এই নিম্নচাপ দুর্বল হওয়ার আগে উত্তর ওড়িশা জেলার মধ্যে দিয়ে যাবে। গত ২৪ ঘণ্টায় পুরীর বিভিন্ন এলাকায় রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে। আস্তারাঙ্গায় ৫৩০ মিলিমিটার, ককটপুরে ৫২৫ মিলিমিটার, গোপায় ৩৩১ মিলিমিটার, সত্যবতীতে ৩২৮ মিলিমিটার, নিমাপাড়ায় ৩০২ মিলিমিটার, পিপিলিতে ২৬৩ মিলিমিটার, ব্রাহ্মগিরিতে ২৪০ মিলিমিটার, দেলাঙ্গায় ২২৮ মিলিমিটার, কানাসে ২১২ মিলিমিটার ও কৃষ্ণপ্রসাদে ১৭৯.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রবিবার এবং সোমবার মধ্যরাতে পারাদীপে ২২১ মিলিমিটার ও সম্বলপুরে ৯৪ মিলিমিটার একই রকমের অতি ভারী বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।


গত ২৪ ঘণ্টায় পুরীতে রেকর্ড ৩৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যেখানে গত সেপ্টেম্বরে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হয়েছে ২২৯.৫ মিলিমিটার। ভুবনেশ্বরে অবস্থিত আঞ্চলিক আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী এমনটাই জানা যাচ্ছে। 


উল্লেখ্য, গভীর নিম্নচাপ উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর থেকে চাঁদবালির কাছে ওড়িশার স্থলভাগে প্রবেশ করেছে। এটি ক্রমশ পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে উত্তর ওড়িশা ও উত্তর ছত্রিশগড় এর দিকে যাবে। এরই প্রভাবে ওড়িশায় প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস। কলকাতায় দিনভর মেঘলা আকাশ। বইবে ঝোড়ো হাওয়া। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ভারী বৃষ্টি হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। আগামীকাল থেকে কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। বুধবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে।


গভীর নিম্নচাপের জের। উত্তাল দিঘার সমুদ্র। পুলিশের তরফে সকাল থেকে শুরু হয়ে মাইকে প্রচার। মৎস্যজীবীদের আগামীকাল পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পাশাপাশি, পর্যটকদেরও নামতে নিষেধ করা হয়েছে সমুদ্রে।


এ প্রসঙ্গে মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, ‘মৎস্যজীবীদের ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়াও সমুদ্রের ঢেউ বেশি হলে যাতে বাঁধে কোনও সমস্যা না হয়, সেই বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। জল ঢুকে ক্ষয়ক্ষতি না যেন না হয়, সেজন্য সমস্ত দফতরকে সতর্ক করা হয়েছে। মাইকেও প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়াও সমুদ্রে যাতে কোনও পর্যটক না নামতে পারেন, সেই বিষয়টিও দেখা হচ্ছে।’