সমীরণ পাল, গাইঘাটা: প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা। ভেঙে পড়েছে একাধিক বাড়ি। উড়ে গিয়েছে চাল। নিরাশ্রয় বেশ কয়েকটি পরিবার।


কোনও বাড়ির চাল উড়ে গেছে। কোনওটার মাটির দেওয়াল ধসে পড়েছে। সোমবারের কয়েক ঘণ্টার ঝড়-বৃষ্টিতে লন্ডভন্ড উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা। জলেশ্বর, ইছাপুর এলাকায় একের পর এক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি।


দুসপ্তাহও হয়নি তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। তারমধ্যে ফের দুর্যোগ। মাথার ওপর ছাদ হারিয়ে এই মানুষগুলো এখন আশ্রয় নিয়েছে ত্রাণশিবিরে। গাইঘাটার বাসিন্দা সুভাষ কবিরাজ বলেন, ঝড়ের সময় বাড়ির সকলে ঘরের মধ্যেই ছিলেন আচমকা টিনের চাল উড়িয়ে নিয়ে ইট ভেঙে পড়ে খাটের উপরে। পরিবারের সকলকে নিয়ে পাশের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয় ঘরের মধ্যে।


গতকালই আলিপুর  আবহাওয়া দফতরের তরফে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে। কলকাতার একাংশে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া হবে। এছাড়া কলকাতা ছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনার একাংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়। গতকালই বৃষ্টিতে ভিজেছে দক্ষিণবঙ্গ। বজ্রাঘাতের জেরে রাজ্যে মৃত্যুমিছিলের ছবিও দেখা যায়। ৭ জেলায় মৃত্যু ২৮ জনের। শুধু হুগলিতে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। মুর্শিদাবাদে প্রাণ হারিয়েছেন ৯ জন। পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুরে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বজ্রপাতে। বাঁকুড়ায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।  উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে বাজ পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নদিয়াতেও মৃত্যু হয়েছে একজনের।  


গাইঘাটা বাসিন্দা বাবলু মণ্ডল বলেন, শুধু যে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাই-ই নয়, জল জমে গেছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমিতে। ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা। পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি গোবিন্দ দাস বলেন, আচমকা ঝড় এর ফলে গাইঘাটার বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষয়ক্ষতির খবর এসেছে শতাধিক বাড়ি ফসলের ক্ষতি হয়েছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। সামনেই বর্ষা, তার আগে ঝড়-বৃষ্টিতে সব তছনছ। সামনের কটা মাস কীভাবে কাটবে, সেই আতঙ্কে দিন কাটছে এই অসহায় মানুষগুলোর।