কলকাতা: “হাত বাড়ালেই বন্ধু।“  বন্ধু, এই শব্দটার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে অনেক কিছু। দুর্দিনের সঙ্গী, সুদিনের সাথী হল একজন বন্ধু। যার কাছে মনের সব কথা বলা যায় নির্দ্বিধায়। বিপদের দিনে সে পাশে এসে দাঁড়ায়। আনন্দের হাসি থেকে দুঃখের কারণ নেওয়া যায় ভাগ করে নেওয়া যায় তার সঙ্গে। ভরসার হাত হয়ে ওঠে প্রিয় বন্ধু। বয়স ভিত্তিতে বন্ধুত্বের সমীকরণ আলাদা। সঙ্গীত শিল্পী মান্না দে বহুদিন আগে গেয়েছিলেন “কফি হাউজ়ের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই...” যা মনে করায় প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে ফেলে আসা স্মৃতি। প্রিয় বন্ধুর কাছে না থাকার দুঃখ। আজ সেই প্রিয় বন্ধুদের দিন। আজ ৮ জুন ‘ন্যাশনাল বেস্ট ফ্রেন্ডস ডে’।


প্রিয় বন্ধুই আসলে জীবনে সাপোর্ট সিস্টেমের কাজ। একজন আরেকজনকে জীবনের চড়াই-উৎড়াই পেরিয়ে যেতে সাহায্য় করে থাকে। ১৯৩৬ সালে ন্যাশনাল বেস্ট ফ্রেন্ডস ডে পালন শুরু হয়েছিল মার্কিন মুলুকে।  প্রতিবছর  ৮ জুন ন্যাশনাল বেস্ট ফ্রেন্ড ডে পালন করা হয়ে থাকে আমেরিকায়। কেন পালন করা হয় এই দিন?  প্রিয় বন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ভালবাসা জানাতে এই দিন পালন করা হয়। ফ্রেন্ডশিপ ডে এবং উইমেন্স ফ্রেন্ডশিপ ডে-র মতো এই দিনও পালন করা হয়ে থাকে শুধুমাত্র প্রিয় বন্ধুর জন্যই। স্বাভাবিক সময়ে বিভিন্ন সংস্থা গেম বা শো আয়োজন করে থাকে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা সম্ভব নয়। তাই নিউ নর্ম্যালে ন্যাশনাল বেস্ট ফ্রেন্ড পালনে বেছে নেওয়া হয়েথে ভার্চুয়াল মাধ্যমকে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলছে উদযাপন।


বন্ধুত্বের নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম হয় না। স্কুলজীবন থেকে অফিস, অথবা ভাই বা বোন থেকে পরিবারের অন্য কেউ। প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠতে পারেন যে কেউ। আজ এই বিশেষ দিনে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে ছবি শেয়ার করে থাকেন। অনেকেই আবার বন্ধুর পছন্দের খাবার বানিয়ে তাকে সারপ্রাইজ দিয়ে থাকেন। এই বিশেষ দিনে প্রিয় বন্ধুর পছন্দের কোনও জিনিস উপহার হিসেবেও দেওয়া যেতে পারে। আর এই সব কিছু না হলেও, রোজকার ব্যস্ত জীবন থেকে খানিক সময় বের করে মুহূর্ত উদযাপন করা যেতে পারে।