নয়াদিল্লি: ফের বিমান দুর্ঘটনা নেপালে (Nepal)। এবার একটি কপ্টার আছড়ে (Helicopter Crash) পড়ল হিমালয়ের কোলের এই দেশে। নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে সেটির ধ্বংসাবশেষের খোঁজ মেলে। নেপাল পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ধ্বংসাবশেষ থেকে ৫ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কপ্টারটি লিখু পিকে (Likhu PK) গ্রাম এবং দুধকুন্ডা পুর এলাকার সীমানায় পাওয়া গিয়েছে। ওই এলাকাটি লামাজুড়া ডান্ডা নামেই পরিচিত। এএনআই সূত্রের খবর, কোশী প্রদেশের ডিআইজি রাজেশনাথ বস্তোলা জানিয়েছেন পাঁচজনের দেহ উদ্ধার করেছেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, পাহাড়ের উপরে কোনও গাছে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় কপ্টারটি। নিহতদের পরিচয়ের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নেপালে ছয়জন আরোহী নিয়ে একটি হেলিকপ্টার নিখোঁজ হয়েছিস। কপ্টরটি সোলুখুম্বু থেকে কাঠমান্ডুর দিকে যাচ্ছিল। সূত্রের খবর, সকাল ১০টার দিকে কন্ট্রোল টাওয়ারের সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কপ্টারটির।
এটি একটি বেসরকারি হেলিকপ্টার। এটিকে মেক্সিকোর ৫ জন নাগরিক ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। Manang Air Chopper 9N-AMV নামের এই কপ্টারটি সোলুখুম্বু জেলার সুরকে বিমানবন্দর থেকে উড়েছিল কপ্টারটি। ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যানেজার জ্ঞানেন্দ্র ভুল জানিয়েছেন, ১২০০০ ফুট উচ্চতায় থাকার সময় ১০ টা বেজে ১৩ মিনিটে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ওই বিমানে মেক্সিকোর পাঁচজন ছিলেন। কপ্টার চালাচ্ছিলেন সিনিয়র ক্যাপ্টেন Chet B Gurung
১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত Manang Air. কাঠমাণ্ডুর এই সংস্থা কপ্টার পরিষেবা দিয়ে থাকে। নেপালের মধ্যে বাণিজ্যিক কপ্টার পরিষেবা দেয় এই সংস্থাটি।
এর আগেও ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা:
চলতি বছরের শুরুতেই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল নেপালে। জানুয়ারিতে দুর্ঘটনায় পড়ে ৭২ আসনের ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমান। ৬৮ জন যাত্রী এবং ৪ জন ক্রু মেম্বার ছিলেন। কাঠমাণ্ডু থেকে উড়েছিল পোখরাগামী বিমানটি। অবতরণের আগে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সেইসময় বিমানটি ৩২ হাজার ফুট ওপরে ছিল। বিমান চালক ATC-র সিগনাল পাওয়ার পর, বিমানটি আচমকা দ্রুত গতিতে নীচে নেমে আসে। ভেঙে পড়ার পর বিমানে আগুন ধরে যায়। ওই ঘটনায় কেউ বাঁচেননি। নিহতদের মধ্যে ছিলেন বেশ কয়েকজন ভারতীয়।
আরও পড়ুন: হলে পরীক্ষা দিচ্ছেন মা! বাইরে খুদেকে সামলালেন 'পুলিশ মা'