আহমেদাবাদ: দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক মহিলা পুলিশকর্মী। তাঁর কোলে এক শিশু। হাসছে-খেলছে, কখনও গলা জড়িয়ে ধরছে ওই পুলিশকর্মীর। শিশুকে কোলে নিয়ে খেলছেন তিনিও। এমন পোস্ট ভাইরাল রয়েছে। ঘটনাটি রবিবারের।


সূত্রের খবর, এটি গুজরাতের ঘটনা। রবিবার Odhav-এ গুজরাত হাইকোর্টের (Gujarat) পিওন পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া ছিল। সেই পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন ওই ছয় মাসের শিশুর মা। শিশু কোলে পরীক্ষা দেওয়া কঠিন, তাই পরীক্ষার সময়টা সেই শিশুকে সামলালেন পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকা এক মহিলা পুলিশকর্মী। ওই ভিডিওটি ট্যুইটারে শেয়ার করা হয়েছে আহমেদাবাদ পুলিশের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে। সেখান থেকেই জানা যাচ্ছে, ওই মহিলা কনস্টেবলের নাম দয়া বেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ওই ছয় মাসের শিশুকে কোলে নিয়ে খেলায় ভুলিয়ে রাখছেন তিনি। কখনও কোলে নিয়ে নাচাচ্ছেন, কখনও কথা বলছেন। উত্তর দিচ্ছে শিশুও। কখনও সে গলা জড়িয়ে ধরছে ওই পুলিশ কর্মীর। কখনও মাথা রাখছে তাঁর কাঁধে।  


 






ট্যুইটারে যে পোস্ট করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে। ছয় মাসের ছেলেকে নিয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন এক মহিলা পরীক্ষার্থী।  গুজরাত হাইকোর্টের পিওন পদে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন তিনি। পরীক্ষা শুরুর তখন আর সামান্য কিছু সময় বাকি। কিন্তু সেই শিশু ক্রমাগত কেঁদেই যাচ্ছিল। তখন বাচ্চাকে সামলাবেন নাকি পরীক্ষা দেবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না ওই মহিলা। সেই পরিস্থিতি দেখে এগিয়ে আসেন কনস্টেবল দয়া বেন। তিনিই জানান, পরীক্ষা দেওয়ার সময় ওই খুদেকে সামলাবেন তিনিই। কনস্টেবলের এই কাজের প্রশংসা করা হয়েছে আহমেদাবাদ পুলিশের পক্ষ থেকে। এই সাহায্যের জন্যই মন দিয়ে পরীক্ষা দিতে পেরেছেন ওই মহিলা, এমনটাই জানানো হয়েছে আহমেদাবাদ পুলিশের পক্ষ থেকে। 


ট্য়ুইটারে পোস্ট করতেই ভাইরাল হয়েছে ভিডিওটি। ওই কনস্টেবলের কাজে প্রশংসার বন্যা বয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।


আরও পড়ুন: তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে পথ অবরোধ, আটক SFI রাজ্য সভাপতি