কলকাতা: মার্চ থেকে করোনা কাঁটা। লকডাউনে দমবন্ধ মানুষ। এরপর উমপুনের ভয়ঙ্করতা। এখন ভারত-চিন সীমান্তে রক্তপাত। একের পর এক সমস্যা নিয়ে কার্যত দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে মানুষের। এরমধ্যেই সুখবর, রসনাপ্রিয় বাঙালির এবার ইলিশ ভাগ্য বড়ই ভাল নাকি!
গতরাত থেকেই ইলিশভর্তি ট্রলার ভিড়েছে উপকূলে। সকাল হতেই ডায়মন্ডহারবারের নগেন্দ্রবাজারে বেচেকেনা শুরু হয়েছে। আনলক ওয়ানে মরসুমের প্রথম ইলিশ দিয়েই খুলেছে এই পাইকারি বাজার।
আষাঢ়ের প্রথম দিনের আগেই বর্ষার আগমন ঘটেছে রাজ্যে। কখনও বৃষ্টি ঝরছে মুষলধারে কখনও ইলশে গুঁড়ি। আর এমন দিনে তো ইলিশই পারে মনমরা মনে খুশির ঝলক এনে দিতে।
মনের আনন্দে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ঢুকছে মোহনায়। আর সেই সব রুপোলি শস্য বাঁধা পড়েছে মৎস্যজীবীদের জালে। বাজার জুড়ে এখন মরসুমের প্রথম ইলিশ।
তিন মাস পর সোমবারই প্রথম সমুদ্র পাড়ি দেন মত্স্যজীবীরা। আশা ছিল, এবার ধরা পড়বে প্রচুর ইলিশ। আশা পূরণ হয়েছে মৎসজীবীদের।
বুধবার রাত থেকেই ইলিশ বোঝাই ট্রলার ভিড়তে শুরু করেছে ডায়মন্ডহারবারে। বৃহস্পতিবার সকালে ইলিশ দিয়েই বেচাকেনা শুরু হল নগেন্দ্রবাজারে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এদিন থেকেই খুলল এই পাইকারি বাজার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ কল-কারখানা। ফলে আগের থেকে অনেক দূষণহীন, পরিষ্কার নদীর জল। সেই কারণে ইলিশের স্বাদ এবার হবে অসাধারণ।
বাজার খোলার আগে এদিন ভোর থেকে জীবাণুমুক্ত করা হয় গোটা বাজার। আড়তের শ্রমিকদের দেওয়া হয় গ্লাভস ও মাস্ক। থার্মাল চেকিং-এর পর ঢুকতে দেওয়া হয় বাজারে। তারপর শুরু হয় ইলিশের বিকিকনি।
কিন্তু খুশির মাঝেও আছে মন খারাপের খবর। বঙ্গোপসাগরে ফের খারাপ হয়েছে আবহাওয়া। তাই ফিরে আসতে হচ্ছে মৎস্যজীবীদের।