হিমাচল প্রদেশ: প্রবল বৃষ্টিতে আচমকাই হরপা বান নেমে এল হিমাচল প্রদেশে। এর ফলে এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে ৭ জন। মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যেই এই বান নেমে আসে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের তরফে এই খবর জানান হয়েছে।
বুধবার সকালে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানান হয় কুলুতে ৪ জন, চাম্বায় ১ জন এবং লাহৌল-স্পিতিতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানান হয়েছিল। একের পর এক বিপর্যয় জারি রয়েছে হিমাচলে। বুধবার ভোর ৬.১৫ নাগাদ কুলুতে ২৬ বছরের যুবতী পুনম ও তাঁর ৪ বছরের শিশুকে ব্রহ্মগঙ্গায় আচমকাই আসা হড়পা বান ভাসিয়ে নিয়ে চলে যায়। পরে উদ্ধার হয় দেহ। এমনটাই জানিয়েছিলেন সে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা ম্যানেজমেন্টের প্রধান।
লাহৌলিতে মঙ্গলবার রাতে নামা হড়পা বানে ভেসে যায় শ্রমিকদের দু’টি তাঁবু ও একটি জেসিবি গাড়ি।নিখোঁজ ব্যক্তিদের তল্লাশি শুরু করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। যদিও প্রবল বৃষ্টির জেরে আটকে রয়েছে উদ্ধার কাজ। বুধবার সকাল থেকে তল্লাশির কাজ শুরু হলেও অনেকেই নিখোঁজ।
মৌসম ভবনের তরফে জানান হয়েছে এখনই বৃষ্টি কমার কোনও লক্ষণ নেই। বরং বাড়বে বৃষ্টি। ইতিমধ্যেই একাধিক জেলায় লাল সতর্কতা জারি হয়েছে। হিমাচল প্রদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্রবল এই বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। লাহৌল-স্পিতিতে বহু রাস্তা বন্ধ রয়েছে। আবহাওয়াবিদ সুরেন্দার পাল জানিয়েছেন, কিন্নর, লাহোল-স্পিতি, ছাম্পা সহ একাধিক এলাকাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। নিচু এলাকাগুলিতে বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, জম্মু-কাশ্মীরের কিশতোয়ারে ভয়াবহ মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে তলিয়ে গেল বহু বাড়ি। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের, নিখোঁজ ৪০। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন সূত্র। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, রাজ্য বিপর্যয় বাহিনী এবং সেনাবাহিনী এর দলগুলি ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজের চেষ্টা করছেন। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই কাজ ব্যাহত হচ্ছে।