শিমলা: লোকসভা ভোটের  ( Loksabha Poll ) আগে হিমাচল প্রদেশে ( Himachal Pradesh ) কংগ্রেসের ( Congress ) গদি টলমল। ক্রস ভোটিংয়ের ঠেলায় রাজ্যসভা আসনের ভোটে বিজেপি প্রার্থী বিজেপি প্রার্থী হর্ষ মহাজনের কাছে পরাজিত হন কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। এই ফলাফলে মঙ্গল থেকেই নতুন করে চাঙ্গা হয়েছে গেরুয়া শিবির। বুধবারই  হিমাচলের বিরোধী দলনেতা জয়রাম ঠাকুরের নেতৃত্বে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চলে যান বিজেপি বিধায়করা।  মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখুর বিরুদ্ধে আস্থাভোটের দাবি জানান বিজেপি বিধায়করা। 


বুধবার বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে স্লোগান দেওয়া ও অসদাচারণের অভিযোগে বিরোধী দলনেতা-সহ ১৫ জন বিজেপি বিধায়ককে বহিষ্কার করেন হিমাচল বিধানসভার অধ্যক্ষ। বুধবার বিধানসভার স্পিকার কুলদীপ সিং পাঠানিয়া ১৫ জন বিজেপি বিধায়ককে বরখাস্ত করেন। বহিষ্কৃত বিধায়কদের মধ্যে বিরোধী দলনেতা এবং রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুরও রয়েছেন। 


বুধবার সকালেই জয় রাম ঠাকুর আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ' আমরা আশঙ্কা করছি যে স্পিকার কুলদীপ সিং পাঠানিয়া বিজেপি বিধায়কদের বরখাস্ত করতে পারেন যাতে বিধানসভায় বাজেট পাস করা যায়'। তিনি আরও দাবি করেন,  রাজ্যসভা নির্বাচনে এটা স্পষ্ট যে, কংগ্রেস সরকার সংখ্যালঘুতে রয়েছে এবং মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর পদত্যাগ দাবি করছি। 


মঙ্গলবার রাজ্যের ক্ষমতাসীন কংগ্রেস দলের বিধায়কদের ক্রস-ভোটিংয়ের জন্য বিজেপির রাজ্যসভার প্রার্থী হর্ষ মহাজন কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভিকে পরাজিত করেন। তারপরই বিজেপি শিবিরে কংগ্রেস সরকারকে আরও বিপাকে তৎপরতা চোখে পড়ে।  


দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বুধবার রাজভবনে রাজ্যপাল শিব প্রতাপ শুক্লার সঙ্গে দেখা করেন জয় রাম ঠাকুর এবং বিধানসভায় সরকারের আস্থা ভোট দাবি করেন।  অন্যদিকে, হাত শিবিরের বিড়ম্বনা আরও বাড়িয়ে হিমাচল প্রদেশের  মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিং বুধবার মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেন।   


 এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গাঁধী সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, গণতন্ত্রে সাধারণ জনগণের অধিকার আছে তাঁদের পছন্দের সরকার বেছে নেওয়ার। হিমাচলের মানুষ এই অধিকার ব্যবহার করে স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে কংগ্রেস সরকারকে এনেছে।  কিন্তু বিজেপি অর্থশক্তি এবং কেন্দ্রের ক্ষমতার অপব্যবহার করে হিমাচলের মানুষের এই অধিকারকে চূর্ণ করতে চায়। এই উদ্দেশ্যে বিজেপি যেভাবে সরকারি নিরাপত্তা ও নানা কৌশল ব্যবহার করছে তা দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। যদি ২৫ জন বিধায়ক নিয়ে একটি দল ৪৩ জন বিধায়কের সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে চ্যালেঞ্জ করে, তাহলে এটা স্পষ্ট যে দেদার ঘোড়া কেনাবেচা হয়েছে। তাদের এই মনোভাব অনৈতিক ও অসাংবিধানিক। হিমাচল ও দেশের মানুষ সব দেখছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে রাজ্যের মানুষের পাশে না দাঁড়ানো বিজেপি এখন রাজ্যকে রাজনৈতিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিতে চায়।” 


এরই মধ্যে কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের গুঞ্জন শোনা যায়। এই প্রসঙ্গে হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তিনি পদত্যাগ করিনি। সুখু বলেন, 'আমি একজন যোদ্ধা। আমরা বাজেটের সময় আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করব।আমি এটাও স্পষ্ট করতে চাই যে কংগ্রেস সরকার তার ৫ বছরের মেয়াদ পূর্ণ  করবে।' 


আরও পড়ুন: SBI SCO recruitment 2024: SBI SCO পদে শুরু নিয়োগ, কীভাবে কবে পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ