শিমলা : হিমাচল প্রদেশে ( Himachal Pradesh ) ক্ষমতায় কংগ্রেস। পাহাড়ি রাজ্যে একমাত্র যে রাজ্যসভার আসনটি ছিল তাতে কংগ্রেসের ( Congress )  জয় নিশ্চিত ছিল একপ্রকার ৷ অথচ মঙ্গলবার বড়সড় চমক দেখা গেল রাজ্যসভা নির্বাচনে ( Rajyasabha Poll ) ! জয় পেলেন না অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি ! সংখ্যার নিরিখে যে জয় নিশ্চিতই ছিল, তাও রইল অধরা । ৬৮ সদস্যের বিধানসভায় দুই প্রার্থীই ৩৪টি করে ভোট পান। ফলে টাই হয়ে যায়।  শেষ পর্যন্ত  লটারির মাধ্যমে রাজ্যসভার প্রার্থীর জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয় হিমাচলে।  লটারিতে জিতে রাজ্যসভার সাংসদ মনোনীত হন বিজেপি প্রার্থী হর্ষ মহাজন। নেপথ্যে যে ক্রস ভোটিং, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থাকে না ! তারপর রাত পোহাতেই জল্পনা সত্যি করে রাজ্যপালের কাছে যায় বিজেপি। বুধবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখুর বিরুদ্ধে আস্থাভোটের দাবি জানায় বিজেপি।


দলের রাজ্য সভাপতি এবং হিমাচলের ( Himachal Pradesh Political Crisis ) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী  জয়রাম ঠাকুর এদিন বলেন, "রাজ্যসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হর্ষ মহাজন জিতেছেন। বর্তমানে, কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে।" তাঁর অভিযোগ, "আমাদের বিধায়কদের সঙ্গে মার্শালরা যেভাবে আচরণ করেছেন তা নিন্দনীয়। আমাদের আশঙ্কা, স্পিকার বিজেপি বিধায়কদের বরখাস্ত করতে পারেন এবং কংগ্রেসের যে বিধায়করা রাজ্যসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন, তাঁদেরও সাসপেন্ড করতে পারেন।" বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে  বিধানসভায় অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে বলে ঠিক করেছে বিজেপি। এরই মধ্যে হাওয়া খারাপ বুঝে  বিদ্রোহী ছয় বিধায়কের বিধায়ক পদ খারিজের জন্য স্পিকারের কাছে দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস ৷


হিমাচল প্রদেশে বিধানসভায় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ২৫। সেখানে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ৪০। ৩ জন নির্দল সদস্য রয়েছেন ।  এই পরিস্থিতিতে ক্রস ভোটিং ছাড়া এমন ফল হতেই পারে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, কলকাঠি নেড়েছেন কংগ্রসের ৬ বিধায়ক।  সরকারের পক্ষে থাকা ৩ নির্দলও সিঙ্ঘভিকে ভোট দেননি। তাই এই ফল।  






এরই মধ্যে ড্যামেজ কন্ট্রোলে তৎপর হয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। মল্লিকার্জুন খাড়গে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার এবং প্রবীণ নেতা ভূপিন্দর সিং হুডাকে সিমলায় গিয়ে অসন্তুষ্ট দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলার জন্য পাঠাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সুখবিন্দর সিং সুখুকে নিয়ে খুশি ছিলেন না বিধায়কদের একাংশ। তবে সেই বিরোধিতা যে আগ্নেয়গিরির রূপ নেবে তা হয়ত ভাবেনি কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতারা।