নয়াদিল্লি: 'বিজেপি-শাসিত রাজ্যে বাংলা বললেই বাংলাদেশি-তকমা’, তৃণমূলের অভিযোগের পাল্টা জবাব অসমের মুখ্যমন্ত্রীর ।'বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কয়েক দশক ধরে যুদ্ধ চালাচ্ছে অসম সরকার। আমার বক্তব্য বিকৃত করে আমাদের অবস্থানকে বাঙালি বিরোধী আখ্যা দিতে চাইছে তৃণমূল। অনুপ্রবেশকারীদের আড়াল করার চক্রান্ত তৃণমূলের। বাঙালি-সহ অসমের সব বাসিন্দা আমাদের অবস্থান বোঝেন। অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের আপসহীন অবস্থানকে তাঁরা সমর্থনও করেন', তৃণমূলের অভিযোগের পাল্টা জবাব অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার।

আরও পড়ুন, লড়াই শেষ, ভুবনেশ্বর AIIMS-এ মৃত্যু ছাত্রীর, ওড়িশা বনধের ডাক কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দলের

বাংলায় কথা বললেই কি বাংলাদেশি? বাংলাভাষীদের অসম্মানের অভিযোগে বুধবার পথে নামছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। এরইমধ্য়ে বিজেপি শাসিত অসমের মুখ্য়মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বাংলা-বিদ্বেষের মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল! সম্প্রতি, অসমে বসবাসকারী বাংলাভাষীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য় করেন উত্তর পূর্বে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের সেনাপতি হিমন্ত বিশ্বশর্মা। অসমের মুখ্য়মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন,যদি আপনি ঘরে বাংলায় কথা বলেন, তা হলে আপনি জনগণনার সময়ে কেন অসমিয়াতে কথা বলে এই মিথ্যে তথ্য দিচ্ছেন? জনগণনায় মিথ্যে তথ্য দেওয়া অপরাধ।নিজেরা যে ভাষায় কথা বলেন, সেই ভাষাই লিখুন সরকারি নথিতে, মিথ্যে কথা লিখবেন না। জনগণনার নথিতে মিথ্যে তথ্য দিলে জেল হয় এসব ভয় বিজেপি পায় না, হিমন্ত বিশ্বশর্মা পায় না। উচ্ছেদ অভিযান যেমন চলছে, তেমনই চলবে।'

 বিজেপি শাসিত অসমের মুখ্য়মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য়ের অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল। এরইমধ্য়ে নিজের বক্তব্য়ের ব্য়াখ্য়া দিয়ে মঙ্গলবার X পোস্টে অসমের মুখ্য়মন্ত্রী লেখেন, অসম কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশি মুসলিমদের অবৈধ অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে। আমার মন্তব্য়কে বিকৃত করে, আমাকে বাঙালি বিরোধী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে তৃণমূল। এটা আসলে বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করার মরিয়া চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়। যাদের উপস্থিতি আমাদের জাতির জনসংখ্যাগত কাঠামোকে পরিবর্তনের হুমকি দেয়। 

অসমের মুখ্য়মন্ত্রীর এই পোস্টকে রিপোস্ট করে, 'শুভেন্দু অধিকারী, X পোস্ট করেছেন। লিখেছেন, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ও তাঁর তৃণমূল নির্লজ্জভাবে এই অনুপ্রবেশকারীদের উপর নির্ভর করছে, তাদের সুরক্ষা দিচ্ছে এবং নোংরা ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির জন্য তাদের ভোটার তালিকায় জায়গা পাওয়ার পথ তৈরি করে দিচ্ছে। কারণ, তাঁদের রাজনৈতিকভাবে টিকে থাকা নির্ভর করছে এদের (অনুপ্রবেশকারীদের) ওপরেই।'  পরিসংখ্য়ান বলছে, বাংলাভাষায় কথা বলা মানুষের সংখ্য়া ভারতে দিনে দিনে কমছে। ১৯৯১ সালের জনগণনা অনুযায়ী ভারতের মোট জনসংখ্য়ার ৮.৩০% মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলতেন। ২০০১ সালে সেই সংখ্য়াটা কমে হয় ৮.১১%.২০১১ সালে শেষ জনগণনায় তা কমে দাঁড়ায় ৮.০৩%-এ।