তৃণমূল বিধায়কের উদ্যোগে গ্রামে ফিরলেন ঘরছাড়া বিজেপি সমর্থকরা

ঘর ছেড়েছিলেন বিজেপি সমর্থক হিসেবে। আর গ্রামে ফিরতেই যোগ দিলেন তৃণমূলে।

Continues below advertisement

গোপাল চট্টোপাধ্যায়, নানুর: তৃণমূল বিধায়কের উদ্যোগে গ্রামে ফিরলেন ঘরছাড়া বিজেপি সমর্থকরা। ঘটনা বীরভূমের নানুরের। আর ফিরে এসে যোগ দিলেন তৃণমূলে। যদিও তাঁদের দলবদলে বাধ্য করা হয়েছে বলে পাল্টা দাবি করছে বিজেপি নেতৃত্ব।

Continues below advertisement

ঘর ছেড়েছিলেন বিজেপি সমর্থক হিসেবে। আর গ্রামে ফিরতেই যোগ দিলেন তৃণমূলে। সোনালি গুহ, অমল আচার্য, দীপেন্দু বিশ্বাসদের দলে ফেরানো নিয়ে,  এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে অন্য ছবি দেখা গেল বীরভূমের নানুরে। তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের উদ্যোগে ঘরে ফিরল পাকুরহাঁস গ্রামের বিজেপি সমর্থক ৭৫টি পরিবার। আর ঘরে ফিরতেই সবাই যোগ দিল শাসক দলে।

তৃণমূলে যোগদানকারী বিজেপি সমর্থক বলেন, ভোটের ফলের পর থেকে ঘরছাড়া ছিলাম। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ও বিধায়কের উদ্যোগে ঘরে ফিরতে পেরেছি। কেন গ্রামছাড়া? বিজেপি সমর্থক ছিলাম, কিছু ভুলত্রুটি হয়েছে।

এবারের বিধানসভা ভোটে নানুর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী তারকেশ্বর সাহাকে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি ভোটে হারান তৃণমূল প্রার্থী বিধানচন্দ্র মাঝি। ফল প্রকাশের পরই রাজনৈতিক অশান্তিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নানুরের বিভিন্ন এলাকা। স্থানীয় সূত্রে খবর, তখনই ঘরছাড়া হয় পাকুরহাঁস গ্রামের বিজেপি সমর্থক ৭৫টি পরিবার।

গত মঙ্গলবার পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব ঘরছাড়াদের তালিকা দেয়। কিন্তু প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই তৃণমূল বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির উদ্যোগে গ্রামে ফিরলেন ঘরছাড়ারা। নানুরের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, এরা আতঙ্কিত হয়ে গ্রাম ছেড়েছিল। এদের সঙ্গে যোগাযোগ করে গ্রাম ফিরিয়ে আনি, গ্রামে ফেরার পর ওরা তৃণমূলে যোগদান করল। যদিও বিজেপির দাবি, তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে তাঁদের সমর্থকদের।

নানুরের বিজেপি নেতা তারকেশ্বর সাহার অবশ্য দাবি, ওঁদের ভয় দেখানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে গ্রামছাড়া। বর্ষা আসছে। গ্রামে ফিরতে হবে বলে ওরা ফিরে এসেছে। বাধ্য হয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। সব মিলিয়ে ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরা নিয়েও তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola