নিউ দিল্লি : বৈধ পরিচয়পত্র বা করোনা পজিটিভ রিপোর্টের অভাবে কারও ভর্তি যেন আটকে না থাকে। যেসব কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা হচ্ছে, তাদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হলফনামা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একথা জানাল কেন্দ্র। করোনা পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় পরিষেবা নিশ্চিত করা নিয়ে শীর্ষ আদালতের স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় গতকাল রাতে এই হলফনাম জমা দেয় কেন্দ্র। 


শীর্ষ আদালতের তোলা প্রশ্নের ভিত্তিতে হলফনামা জমা করে কেন্দ্র। তাতে বলা হয়েছে, করোনা আক্রান্ত সন্দেহ করা হচ্ছে যাঁদের, আর যাঁদের করোনা হয়েছে তাঁদের জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে ত্রিস্তরীয় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তুলতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের তরফে।


হলফনামায় আরও বলা হয়েছে, মহামারীর হঠাৎ এই বাড়বাড়ন্তের জেরে গোটা দেশে একসঙ্গে টিকাকরণ সম্ভব নয়। তাছাড়া সেই অনুযায়ী ভ্যাকসিনের ডোজও নেই। সেই কারণে, শারীরিকভাবে যাঁরা সুরক্ষিত নন, টিকাকরণে তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।


কেন্দ্র আরও বলেছে, যাঁদের অবস্থা গুরুতর বলে ঠিক হচ্ছে, প্রাথমিকভাবে তাঁদের যত্ন নেওয়া হবে কোভিড হাসপাতালে। এগুলি সম্পূর্ণ হাসপাতালে হতে পারে অথবা হাসপাতালের পৃথক ব্লক। যাদের আলাদা প্রবেশ ও প্রস্থান পথ থাকবে। প্রাইভেট হাসপাতালও কোভিড চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হবে। এই হাসপাতালগুলিতে আইসিইউ, ভেন্টিলেটর এবং অক্সিজেন সাপোর্ট বিশিষ্ট বেড থাকবে। যদি কারও হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে তাহলে তাঁর কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট অত্যাবশ্যকীয় নয়। বেসরকারি সহ কেন্দ্র, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অধীনে যে হাসপাতালগুলি রয়েছে, সেগুলির ক্ষেত্রে এই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যাঁর করোনা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, তাঁকে CCC, DCHC অথবা DHC ওয়ার্ডে ভর্তি করা যেতে পারে। কোনও রোগীকেই যেন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করা না হয়। যদি সেই রোগী অন্য শহরেরও হয়, তবুও তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ, অক্সিজেন সবেরই ব্যবস্থা করতে হবে। যে শহরে হাসপাতাল রয়েছে, সেই শহরের বাসিন্দা হিসাবে যদি বৈধ পরিচয়পত্র না থাকে, সেই গ্রাউন্ডে কারও ভর্তি আটকানো যাবে না।