নয়াদিল্লি: আমেরিকা ও ব্রিটেন এখন 'ন্যায়সঙ্গত কারণে তাদের লক্ষ্য', স্পষ্ট হুমকি ইয়েমেন (Houthi Rebels Threat US & UK)হুথি বিদ্রোহীদের। লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজের উপর হুথিদের হামলার জবাবে সেনা হামলা শুরু করেছে আমেরিকা ও ব্রিটেন। তাতে ৫ জন বিদ্রোহীর মৃত্যু হয় বলে শুক্রবারই জানায় হুথিরা। তার পর এই 'হুমকি।' গত অক্টোবর থেকে ইজরায়েল-হামাসের মধ্যে যে সংঘর্ষ চলছে, তা নিয়ে এমনিতেই উদ্বিগ্ন একাধিক আন্তর্জাতিক সংগঠন। আমেরিকা ও ব্রিটেনের নতুন হামলা ও হুথি বিদ্রোহীদের পাল্টা হুঁশিয়ারির পর সেই সংঘাতের পরিসর বাড়বে, ফলে পশ্চিম এশিয়ার অবস্থা আরও টালমাটাল হয়ে উঠতে পারে বলে প্রমাদ গুণছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।


কী বলল হুথিরা?
সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠনের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক কাউন্সিল শুক্রবার সন্ধের দিকে একটি বিবৃতি জারি করে। লেখা হয়েছে, 'আমেরিকা ও ব্রিটেন যে ভাবে রিপাবলিক অফ ইয়েমেনের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ, ঘোষিত আগ্রাসন শুরু করে দিয়েছে, তাতে তাদের স্বার্থের সঙ্গে জড়িত সবকিছুই এখন ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর ন্যায়সঙ্গত লক্ষ্য।' ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের আরও দাবি, আগ্রাসী শক্তির 'আনন্দ' বেশি দিনের নয়। এর আগেও সংগঠনের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেছিলেন, 'আমাদের ইয়েমেনের উপর যে অপরাধমূলক আগ্রাসন চলছে, তার সম্পূর্ণ দায় আমেরিকা ও ব্রিটেনের। এই আগ্রাসনের জবাব দেওয়া হবে।' বস্তুত, যতক্ষণ পর্যন্ত গাজায় হামলা জারি থাকবে, তত ক্ষণ ইজরায়েলগামী সমস্ত জাহাজকেই যে 'টার্গেট' করা হবে, সে কথাও জানিয়েছিল হুথিরা। সর্বোচ্চ রাজনৈতিক কাউন্সিলের সদস্য, মহম্মদ আলি অল-হুথি বলেন, 'আমেরিকা একটা শয়তান। আমেরিকার উপকূলে তো আমরা হামলা করিনি, তাদের দ্বীপেও ঢুকিনি। আমাদের দেশ তোমাদের হামলাই আসলে সন্ত্রাসবাদ।'
যদিও সৌদি-সমর্থিত, আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত ইয়েমেনের সরকার, ব্রিটেন ও আমেরিকার এই হামলার জন্য পাল্টা বিদ্রোহীদেরই দায়ী করেছে। লোহিত সাগরে জাহাজের উপর হানা দিয়ে ইয়েমেনকে সামরিক সংঘাতে জড়ানোর দায় তাদের বলে মনে করছে ইয়েমেনের সরকার। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও জবাবি হামলা হয়নি বলে পেন্টাগনের তরফে জানানো হয়েছে। যদিও সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে আমেরিকা। তবে রাতের দিকে খবর আসে, ইয়েমেনের আডেন বন্দর-শহর থেকে ৯০ নটিক্যাল মাইল দূরে একটি ভেসেলের দিকে মিসাইল ছুড়েছে বিদ্রোহীরা। পরে জানা যায়, ভেসেলটিকে ব্রিটেনের ভেবে ভুল করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। আদতে রাশিয়ার তেল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাতে। 


মৃত্যুমিছিল...
গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু সংঘর্ষে মৃত্যুমিছিল বেড়েই চলেছে গাজায়। শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানায়, শেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫১ জন মারা গিয়েছেন। জখম ২৪৮ জন। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ২৩ হাজার ৭০৮, জখম ৬০ হাজার ছাপিয়ে গিয়েছে। তার পরও হামলা থামছে কই?


আরও পড়ুন:গাজায় যুদ্ধে আহত ‘ফওদা’ খ্যাত অভিনেতা, এয়ারলিফ্ট করে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে, অবস্থা সঙ্কটজনক