আমেদাবাদ: সার্ধ শতবার্ষিকী চলছে, গাঁধীকে নিয়ে তাই একাধিক কর্মসূচি পালন করছে সরকার। শুধু কেন্দ্রই নয়, জাতির জনক মোহনদাস করমচাঁদ গাঁধীর জন্মদিন উপলক্ষে দেশের সব রাজ্যেই কমবেশি কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। গুজরাতেও চলছে গাঁধী জয়ন্তী। এরই মধ্যে সেই রাজ্যের সুফলম শলা বিকাশ সঙ্কুলের ব্যানারে পরিচালিত স্কুলে গাঁধীকে নিয়ে পরীক্ষার একটি প্রশ্নে ছড়াল বিতর্ক। গাঁধী কীভাবে আত্মহত্যা করলেন? নবম শ্রেণির পড়ুয়াদের পরীক্ষায় এসেছে এই প্রশ্নই। আর এতেই বেঁধেছে বিতর্ক।





সুফলম শলা বিকাশ সঙ্কুল একটি স্বঅর্থে চালিত  সংগঠন যারা একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালায়। একই সঙ্গে এই প্রতিষ্ঠান দ্বারা চালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো  সরকারি সাহায্যও পেয়ে থাকে। সরকারি সহায়তা প্রাপ্ত স্কুলে গাঁধীকে নিয়ে এমন বিতর্কিত প্রশ্নে স্বাভাবিকভাবেই বিপাকে পড়েছে গুজরাতের শিক্ষা দফতর। চাপে পড়ে কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।


১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি দিল্লিতে নথুরাম গডসের হাতে খুন হয়েছিলেন মহাত্মা গাঁধী। আরএসএস-এর আদর্শে দিক্ষিত নথুরাম গডসে প্রার্থনা পর্বশেষে গাঁধীকে খুব কাছ থেকে গুলি করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত ইতালির অটোমেটিক বেরেত্তা এম ১৯৩৪ পিস্তুল থেকে নিক্ষিপ্ত তিনটি বুলেটে ঝাঁঝরা হয়ে যায় মহাত্মার বুক। লুটিয়ে পরেন তিনি। মৃত্যু হয় তাঁর।


এখানেই শেষ নয়। দ্বাদশ শ্রেণির প্রশ্নপত্রে এমনও প্রশ্ন করা হয়েছে, তাতে পড়ুয়াদের মদ বিক্রি বৃদ্ধি ও মাতালদের অভব্যতার প্রতিবাদে পুলিশ কমিশনারকে চিঠি লিখতে বলা হয়েছে।  স্বঅর্থে চালিত স্কুলের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় এই প্রশ্ন অস্বস্তি বাড়িয়েছে জেলা শিক্ষা প্রশাসনেরও। গাঁধীনগর জেলা এডুকেশন অফিসার ভরত ভাদ এই ঘটনায় উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। যদিও সরকারের দায় সরিয়ে তিনি এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেছেন।