নয়াদিল্লি: গল্পের বইয়ের পাতায় প্রথম পরিচয়। ড্রাকুলার দেশ বলেই গেঁথে রয়েছে মনে। বাস্তবে কিন্তু ছবির মতো সাজানো দেশ রোমানিয়া। বসবাস এবং কর্মসংস্থানের যথেষ্ট সুযোগ সুবিধাও রয়েছে। সহজেই সেখানে যেতে পারেন ভারতীয়রা। শুধু বেড়াতে যাওয়াই নয়, সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস, কাজের সুযোগও রয়েছে ভারতীয়দের জন্য। কড়া বিধিনিষেধও নেই তেমন। (Romania Permanent Residency)

Continues below advertisement

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত নয়, ইউরোপিয়ান ইকনমি এরিয়ার অন্তর্ভুক্ত নয়, এমন সব দেশের মানুষই রোমানিয়ায় বসবাস, কাজ এবং পড়াশোনা করতে পারেন। ভারতীয়দের সামনেও সেই সুযোগ রয়েছে। তবে রোমানিয়ায় স্থায়ী ভাবে থাকার অনমতি পেতে গেলে, তার আগে অন্তত পাঁচ বছর সেখানে থেকে কাজ করতে হবে। এতে অবেদন গৃহীত হওয়ার রাস্তা আরও প্রশস্ত হয়ে যায়। (Permanent Residency in Romania)

রোমানিয়ায় স্থায়ী ভাবে বসবাস করার ক্ষেত্রে কিছু মাপকাঠি পূরণ করা অত্যন্ত জরুরি। তবে আহামরি কোনও শর্ত নেই।  রোমানিয়ায় স্থায়ী ভাবে থাকার আবেদন জানানোর ক্ষেত্রে ১) ইউরোপিয়ান ইকনমিক এরিয়া এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত না হলেই হবে। ২) স্থায়ী ভাবে বসবাসের আবেদন জানানোর আগে অন্তত পাঁচ বছর সেখানে থেকে কাজ করতে হবে। ৩) মাসে অন্তত ৭৫০ ইউরো রোজগার থাকতে হবে, ভারতীয় মুদ্রায় যা ৭৭ হাজার ৮৩৪ টাকা। ৪) বৈধ স্বাস্থ্যবিমা থাকা চাই। ৫) রোমানিয়ায় বসবাসের আইনি নথি বা চুক্তি থাকতে হবে। ৬) রোমানিয়া ভাষা জানা জরুরি। ৭) দেশের জাতীয় নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলার জন্য বিপজ্জনক বলে গৃহীত হয়, এমন কোনও রেকর্ড না থাকলেই হল।

Continues below advertisement

রোমানিয়ায় স্থায়ী ভাবে বসবাসের আবেদন জানানোর ক্ষেত্রে প্রথমে সেখানে পাঁচ বছর থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। থেকে কাজ করতে হবে সেখানে। এর পরই অনুমোদন মিলতে পারে। এর জন্য বৈধ পাসপোর্ট, অস্থায়ী ভাবে বসবাসের অনুমোদনপত্র, চুক্তির আিনি নথি, স্বাস্থ্যবিমার নথি, বিয়ের শংসাপত্র, ভাষাজ্ঞানের প্রমামপত্র দেখাতে হবে আধিকারিকদের। ভারতে রোমানিয়ার দূতাবাসে গিয়ে আবেদন জানাতে হবে। জমা দিতে হবে সমস্ত নথিপত্র। রোমানিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাসের আবেদন জানানোর ক্ষেত্রে ১৪ ইউরো ফি লাগে, ভারতীয় মুদ্রায় যা ১৪৪৭ টাকা। সামান্য বেশিও লাগতে পারে। ছ’মাস সময় লাগতে পারে আবেদনপত্র গৃহীত হতে। কিন্তু একবার গৃহীত হলে স্থায়ীভাবে বসবাসের একটি কার্ড পাবেন, যা পরবর্তী ৫-১০ বছরের জন্য় বৈধ থাকবে। শুধুমাত্র নিজের জন্য আবেদন জানানো যায়। গোটা পরিবারের জন্য আবেদন জানালে, আরও কিছু মাপকাঠি পূরণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রক্রিয়াও কিছুটা আলাদা।