অশ্বিন জানিয়েছেন, তখন তাঁর বয়স ১৪-১৫। চেন্নাইয়ে সে সময় টেনিস বল ক্রিকেটের খুব রমরমা। তাঁর এক বন্ধু তাঁকে টেনিস বল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট খেলতে নিয়ে যেতেন কিন্তু তাঁর বাবার পছন্দ ছিল না, ছেলে এ ধরনের ম্যাচ খেলুক। গলিতে ক্রিকেট খেলাও পছন্দ করতেন না তিনি। তাই বাবার অফিস থেকে ফেরার আগেই ম্যাচ খেলে ফিরতেন অশ্বিন। এমনই এক টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ খেলতে বার হচ্ছিলেন তিনি, তখন ৪-৫ জন যুবক রয়্যাল এনফিল্ডে চড়ে তাঁর সামনে হাজির হয়। প্রত্যেকেরই পেশীবহুল, দশাসই চেহারা। অশ্বিন প্রশ্ন করায় বলে তারা তাঁকে ম্যাচের জন্য নিয়ে যেতে এসেছে।
শুনে খুশি হয়ে অশ্বিন বাইকে চড়ে বসেন। তাঁকে তারা নিয়ে যায় এক অভিজাত টি শপে। সেখানে ভাজাভুজি, বড়া অর্ডার দেয়। বলে, চিন্তা করো না, খেতে থাক। সাড়ে তিনটে-চারটে নাগাদ অশ্বিন বলেন, ম্যাচ শুরু হবে এবার, তাঁকে যেতে হবে। তখন তারা জানায়, তারা আসলে প্রতিদ্বন্দ্বী দলের লোক। যাতে তিনি ম্যাচ খেলতে না পারেন তাই তাঁকে নিয়ে এসেছে। যদি এরপরেও অশ্বিন ফাইনাল খেলতে যান, তবে তাঁর আঙুল থাকবে না।
শুনে ভয় পেয়ে তক্ষুনি অশ্বিন জানিয়ে দেন, ম্যাচ তিনি খেলবেন না। পরের ঘণ্টাদেড়েক সেখানে বসে খাওয়াদাওয়া করেন। তারপর বলেন, বাবা এবার অফিস থেকে ফিরবেন, আমাকে বাড়ি যেতে হবে। ম্যাচ খেলব না, কথা দিচ্ছি। এবার তারা তাঁকে ছাড়তে রাজি হয়, নিজেরাই বাইকে করে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসে। শেষ হয় তাঁর টেনিস বলে ক্রিকেট খেলার ইতিবৃত্ত।